চাচাকে মারধরের দৃশ্য ধারণ করায় ভাতিজাকে জুতাপেটা
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল আলম গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে লেবু হোসেন (৪৫) নামে এক ভ্যানচালককে বাড়ি থেকে ধরে এনে ইউপি কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করেন। তখন ভ্যানচালকের ভাতিজা সেই মারধরের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান সেই মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে জুতা পেটা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়র এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আটকে রাখার কথা স্বীকার করলেও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন।
লেবু হোসেনের বাড়ি দোগাছি ইউনিয়নের চক ভারুনিয়া গ্রামে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক।
ভ্যানচালক লেবু হোসেন জানান, “সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যান এসে সালিস করে উভয়পক্ষকে ওই জায়গায় স্থাপনা করতে বারণ করেছিলেন। বিরোধপূর্ণ জায়গায় বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়। সোমবার সকালে আমার স্ত্রীসহ অন্যরা ওই জায়গায় গিয়ে পুঁতে রাখা বাঁশ সরিয়ে ফেলতে বলেন।
এনিয়ে মহিলাদের মধ্য ঝগড়া হয়। সেই সময় আমি ভ্যান নিয়ে জয়পুরহাট শহরে গিয়েছিলাম। সকাল নয়টার পর ভ্যান নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। তখন গ্রামপুলিশ বাড়িতে এসে ইউপি চেয়ারম্যানের কথা বলে দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের নির্দেশে সেখানে একটি কক্ষে তালা দিয়ে আমাকে আটকে রাখেন।
আটকে রাখার কথা জানতে পেরে আমার পরিবারের লোকজনেরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চলে আসেন।
দুপুর একটার পর তালা খুলে আমাকে চেয়ারম্যানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। লোকজনের সামনে আমার গালে চড়-থাপ্পড় মারেন তিনি। এ দৃশ্য আমার ভাতিজা আবু মুসা মুঠোফোনে ভিডিও করছিল। চেয়ারম্যান উঠে এসে ভাতিজা মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলে তাকে জুতা পেটা করেন।
এরপর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম বলেন, “লেবু হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ করেছেন। এ কারণে গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়েছিল। তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। তার ভাতিজা এসে ভিডিও ধারণ করছিল। একারণে লোকজন তাকে সামন্য মারধর করেছে। আমি কাউকে মারধর করিনি। উল্টো লেবুর স্ত্রী আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়েছিলেন।”ে
জয়পুরহাট সদর থানার পরির্দশক (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার বলেন, এক ভ্যানচালককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে দোগাছি ইউপি কার্যালয়ের একটি কক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল করে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ যাওয়ার আগেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এএইচ