অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ নেই (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
দু’দেশের স্বার্থ সংশিষ্ট বিষয় ছাড়া অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর সুযোগ নেই অন্য দেশের কুটনীতিকদের। জেনেভা কনভেনশন প্রটোকলে ব্যাপারটি স্পষ্ট করে বলা আছে। অথচ বাংলাদেশের বেলাতে এই প্রটোকল মানতে চান না কিছু দেশ। অযাচিতভাবে কুটনীতিকরা মাথাও ঘামান অনেক ব্যাপারে।
ঘনিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রতিদিনই বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ। ঘর গোছাতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো।
ব্যতিক্রম শুধু বিদেশি কূটনীতিকদের বাগাড়ম্বর। নির্বাচন কমিশন বা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করছেন ঢাকাস্থ বিভিন্ন মিশনের প্রতিনিধিরা। প্রতিদিনই নতুন নতুন ছবক নাজিল হয়। ছাড়িয়ে যাচ্ছে, শিষ্টাচারের সীমাও।
আবার, ঝোপ বুঝে কোপ মেরে ফায়দা হাসিলে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল চালিয়ে যাচ্ছে, নালিশ-মালিশ।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারো নাক গলানো বা পরিস্থিতি তৈরিতে ক্ষুব্ধ মন্ত্রীদের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রটোকল আমার তৈরি না, ইট ইজ এ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড। সব দেশেই এটা পালন করা হয়।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রকাশ্যে তৎপরতার এ নজির বিশ্বের কোথাও নেই।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালি-উর-রহমান বলেন, “প্রাইভিটি বলার জন্য কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। সব দেশে তাই বলা হয়। উদাহরণ, ভারতে গিয়ে যদি অ্যাম্বাসেডর গিয়ে কথা বলতে চায় তাহলে পরের দিনই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমেরিকাতে একই অবস্থা।”
আর বিদেশিদের কাছে ধরণা দিয়ে কখনোই গণতন্ত্রকে সুসংহত করা যায় না।
ওয়ালি-উর-রহমান আরও বলেন, “গণতন্ত্রের যে স্প্রিট আছে তার বিরোধী এটা। যখন এরশাদ প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন মিলিটারি রুলস ছিল। সেই সময়ে সিভিল সোসাইটি বিভিন্ন দাবি তুলতো।”
জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতেই পারে, এমন মত এই বিশ্লেষকের।
সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, “একটা দেশে ন্যাশনাল কনসেন্স আছে। কোন ধরনের এন্টারফেয়ার অ্যাগরি করা উচিত হবে না পলিটিক্যাল পার্টির।”
দিনশেষে দেশকে ভালোবাসতেই হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসে কেউ মাথায় কাঁঠাল ভাঙার অপতৎপরতা চালাবে- এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এএইচ