ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিক্ষোভের মধ্যে শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩২ পিএম, ২১ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

গভীর অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার অষ্টম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে। গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের পর দেশটির সংসদ সদস্যদের ভোটে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তাকেও পছন্দ করেনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। নতুন করে এখন রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে তারা। রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেছে তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান বিচারপতি নতুন প্রেসিডেন্টকে শপথবাক্য পাঠ করান। এ খবর জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দপ্তর। 

বুধবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটিতে মোট ২২৫ এমপির মধ্যে ১৩৪ জনের ভোট পেয়ে রনিল প্রার্থীদের মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল পদুজানা পেরামুনা পার্টির (এসএলপিপি) আইনপ্রণেতা দুল্লাস আলাহাপেরুমা পান ৮২ ভোট। তবে রাজাপাকসে পরিবারের প্রভাবাধীন এসএলপিপি মূল অংশ পার্লামেন্টে ইউএনপির একমাত্র প্রতিনিধি রনিলকেই ভোট দেয়।

আল জাজিরা প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকশ বিক্ষোভকারী বুধবার (২০ জুলাই) কলম্বোর গোতাগোগামা সাইটে জড়ো হয়। যেখানে গত সপ্তাহে তারা রাষ্ট্রপতি হিসেবে গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ উদযাপন করেছে।

বিক্ষোভে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নেতারা সাবেক ছয় বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেকে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে অস্বীকার জানিয়েছেন। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিক্রমাসিংহে আংশিকভাবে দায়ী বলেও জানান তারা।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের নেতা ওয়াসান্থা মুদালিগে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “সংসদে একজন নতুন রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে এই রাষ্ট্রপতি আমাদের জন্য নতুন নয়, এতে জনগণের ম্যান্ডেট নেই।”

তিনি আরও বলেন, “গোতাবায়া রাজাপাকসেকে আমরা বিতারিত করেছি। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৯ লাখ। তাও রক্ষা হলো না। কিন্তু রানিল বিক্রমাসিংহে এখন পিছনের দরজা থেকে সেই আসনটি সুরক্ষিত করেছেন। তিনি আমাদের প্রেসিডেন্ট নন।”

গোতাবায়া রাজাপকাসে প্রায় ৭০ লাখ ভোট পেয়েছিলেন। তাকেও আমারা পদত্যাগে বাধ্য করতে পেরেছি। কিন্তু রানিল বিক্রমাসিংহে এখন পিছনের দরজা থেকে সেই আসনটি সুরক্ষিত করেছেন। তিনি বলেন, রনিল আমাদের রাষ্ট্রপতি নন। জনগণের আদেশ রাস্তায় দেখা যাবে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএ/