সৌদিতে ২৫০ বাংলাদেশির মানবেতর জীবন যাপন
সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১০:৫০ এএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার
সৌদি আরবের জেদ্দার আজিজিয়া এলাকায় একটি সাপ্লাই কোম্পানিতে ২৫০ বাংলাদেশি নাগরিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দালালের পাল্লায় পড়ে ভালো কাজের আশায় সৌদি এসে কেউ দুই মাস আবার কেউ তিন মাস, কেউ বা ছয়মাস ধরে অনাহারে-অর্ধহারে দিন পার করছেন।
সাপ্লাই কোম্পানি এসব বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজ না দিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন করে যাচ্ছেন। কোম্পানি বাইরে কাউকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের মারধরের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
বিষয়টি ওই কোম্পানির কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে, তারা কোনো উত্তর না দিয়ে অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
জসিম নামের এক শ্রমিক জানান, দালালের মাধ্যমে প্রত্যেকেই ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে এসেছেন । তাদের একটি বন্ধ বাড়িতে রাখা হয়। কাজ চাইলে বেদম প্রহার এবং খাবার পানি না দিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছেন ভুক্তভোগী বাংলাদেশিরা।
জেদ্দা কনস্যুলেটের কনাসল জেনারেল এবং শ্রম কাউন্সিলর এম কাজী এমদাদুল ইসলামকে ঘটনাটি অবহিত করা হলে তৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে একজন আইন সহকারীকে পাঠানো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা করছেন বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার মো. আশরাফুল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন দেশে। সুদে ও ধারদেনা করে চার লাখ টাকা খরচ করে গত মার্চ মাসে সৌদি আরবে আসেন। চার মাসে চাকরি না পেয়ে সুদের টাকা পরিশোধের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
শুধু আশরাফুল বা জসিম নযন, আরও অসংখ্য বাংলাদেশি শ্রমিক সুদে, ঘরের জমি বা ফসলি জমি বিক্রি করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে দালালের মাধ্যমের সৌদি আরব আসেন। এসে কোনো কাজ পান না, পাচ্ছেন না ঠিকমত খাবার।
অনেকেই জানেন না তাদের নিয়োগকর্তা কে বা কারা? একামা বা কাজের অনুমতিপত্র না থাকায় কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই তাদের।
এএইচ