ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া নারীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া রোকসানা বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, শুক্রবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার ভবেরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মনির হোসেন (৪৫) ও মো. আমির (৪০)।

ঘটনার বর্ণনায় র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক বলেন, ৭ বছর আগে রোকসানা বেগমের সঙ্গে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন তিনি। কাজ করতেন বাইশটেকী গ্রামের একটি জামদানী শাড়ী তৈরির কারখানায়। সেখানে মনির হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রোকসানার। একপর্যায়ে তিনি বিয়ের ব্যাপারে মনির হোসেনকে চাপ দেন। তবে আসামি মনির হোসেন তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন। 

লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা আরও বলেন, চলতি বছরের ১৫ জুলাই মনিরের মেয়ের বিয়ে হয়। ১৮ জুলাই মনিরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে যান রোকসানা। পরে সেই বাড়িতেই অবস্থান নেন তিনি। এসময় মনিরের বাড়ির লোকজন তাকে একাধিকবার বাড়ির বাইরে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়। কিন্তু তিনি বাড়িতে অবস্থানে অনড় থাকায় মনির হোসেন, তার ভাই গোলজার, খোকন ও তার ছেলে রানা এবং মনিরের স্ত্রীসহ মামলার আসামিরা তাকে লোহার পাইপ, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় মনির হোসেন ও তার সহযোগীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয় রোকসানার। এর খবর পাওয়ার পর পালিয়ে যায় মনির ও তার সহযোগীরা।

র‌্যাব-১১ অধিনায়ক বলেন, রোকসানা বেগমকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই মো. এনামুল হক (২৫) বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরপর মামলার প্রধান আসামি মনির ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাদেরকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এনএস//