ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

আস্থা ভোটে টিকে গেলেন থাই প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৬:৫১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার

প্রায়ুথ চান ওঁচা

প্রায়ুথ চান ওঁচা

সংসদে অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওঁচা। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই অনাস্থা ভোটে তিনি আইন প্রণেতাদের যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছেন। পরবর্তী ১১ মাসের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে শেষ বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন তিনি।

সাবেক সেনাপ্রধান ৬৮ বছর বয়সী প্রায়ুথ চান ওচা ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানে প্রাথমিকভাবে ক্ষমতায় বসেন এবং পরে ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তার মেয়াদ শেষ হবে। 

তার আগে এই অনাস্থা ভোটের ফল তাকে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে থাকার বৈধতা দিল। আর এ নিয়ে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন প্রায়ুথ।

থাইল্যান্ডের সংসদীয় ইতিহাসে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে কোনো প্রধানমন্ত্রীকে পদচ্যুত করা হয়নি। 

অনাস্থা ভোটে বিরোধী দলের ২২৪টির বিপরীতে জোট সরকারের ২৫৩টি সংসদীয় আসন রয়েছে। প্রায়ুথকে হটানোর জন্য বিরোধীদের ৪৭৭টি  সাংসদীয় ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৩৯টি ভোট পেতে হত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, প্রায়ুথ পেয়েছেন ২৫৬ ভোট এবং তার বিপক্ষরা পেয়েছেন ২০৬টি ভোট। ৯ জন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত ছিল।

গত চার দিনের নিন্দা বিতর্কে বিরোধী দলগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল প্রায়ুথকে ক্ষমতা থেকে সরানো। বিরোধী প্রধান হুইপ সুতিন ক্লুংসাং জানান, প্রায়ুথের মূল ব্যর্থতা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা। তিনি নিজেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তার বিরুদ্ধে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের গুপ্তচরবৃত্তি এবং দেশের বাজেটের অপব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছিল।

বিরোধীরা উপপ্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুলকে গাঁজা বৈধ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। প্রায়ুথের দাবি, তিনি তার সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও থাইল্যান্ডের অর্থনীতি স্থিতিশীল বলে তিনি দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের এখনও ২৫০ দিন বাকি। আমি জোর দিয়ে বলছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশকে সঙ্কট থেকে বের করার জন্য আমি সবকিছু করব। 

সরকারের পূর্বাভাস, এই বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.৫ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে, যা গত বছরের চেয়ে ১.৬ শতাংশ বেশি। সূত্র- আল জাজিরা, রয়টার্স।

এনএস//