ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পাঞ্জাবে জিতেও হেরে গেলেন ইমরান খান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার

ইমরান খান

ইমরান খান

প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন তিন মাস আগে, তবে রাজনীতির মাঠ ছাড়েননি পাকিস্তানের ক্রিকেটের সাবেক ক্যাপ্টেন ইমরান খান। নিজের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার পরীক্ষা হিসেবে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচনে জয়ও ছিনিয়ে এনেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ধরে রাখতে পারলেন না আসন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে পারলেন না ইমরানের প্রার্থী।

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রার্থী চৌধুরী পারভেজ ইলাহিকে হটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শরিফ। 

শনিবার শপথ নিয়েছেন হামজা। এতে রাজনীতির খেলায় ফের ধাক্কা খেলেন ইমরান খান।

পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের আইনসভায় সম্প্রতি ২০ আসনের উপনির্বাচনে ১৫টিতেই জয় পায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। পাকিস্তানের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) বা পিএমএল (এন) জেতে মাত্র চার আসনে। এক আসনে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর ফলে পাঞ্জাবে ইমরানের দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়।

এরপর শুক্রবার ৩৭১ সদস্যের পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের দল পিটিআই প্রার্থী চৌধুরী পারভেজ ইলাহি পান ১৮৬ ভোট। অন্যদিকে পিএমএল-এন প্রার্থী শাহবাজপুত্র হামজা পান ১৭৯ ভোট।

ভোটে হেরেও ডেপুটি স্পিকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে জিতে যান হামজা শরিফ। ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মাজারি ইমরানের দল পিটিআই প্রার্থী পারভেজ ইলাহির পক্ষে দেয়া পিএমএল-কিউর ১০ সদস্যের ভোট বাতিল করে দেন।

মাজারির দাবি, সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের দল পিএমএলের (কিউ) ১০ অ্যাসেম্বলি সদস্য তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করে পিটিআই প্রার্থীকে ভোট দেন। তাই তাদের ভোট বাতিল করা হয়েছে।

মূলত, বৃহস্পতিবার শাহবাজ সরকারের জোটের শরীক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলি জারদারি বৈঠক করেন পিএমএল (কিউ) সভাপতি চৌধুরী সুজাত হুসেনের সঙ্গে। এরপরই পাঞ্জাব আইনসভার দলীয় সদস্যদের হামজাকে ভোট দেয়ার লিখিত নির্দেশ দেন সুজাত।

তবে পিএমএলের (কিউ) পাঞ্জাব পরিষদীয় দলের নেতা সাজিদ আহমেদ খানসহ ১০ সদস্য দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইলাহিকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার তাদের ভোট বাতিল করে দেয়ায় ভোটে হেরেও উল্টো তিন ভোটে জয়ী হয়ে যান হামজা।

তবে এতেও বসে থাকবেন না ইমরান খান। ডেপুটি স্পিকারের অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সূত্র- ডন

এনএস//