ওষুধশিল্পে চ্যালেঞ্জ: কাঁচামাল ও এপিআই উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার
ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কাঁচামাল এখনও আমদানি-নির্ভর। গেল অর্থবছরে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পর্যায়ে কাঁচামাল ও এপিআই উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা। একইসাথে রপ্তানি বৃদ্ধি ও এলডিসি পরিবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া জরুরি বলছেন তারা।
শনিবার এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী ওষুধ খাতের রপ্তানি ও কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক সেমিনারে ঢাকা চেম্বারের এ আয়োজনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, গেল অর্থবছরে ওষুধ খাত প্রায় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করেছে। এ সময়ে খাতটির রপ্তানি ছিল ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ওষুধ খাতের জন্য এপিআই উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।
দেশের ওষুধখাতে অর্জন আশাব্যঞ্জক। সম্ভাবনাও অনেক। আগামী ৪-৫ বছরের এ খাতের রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এলডিসি উত্তরণের পর রপ্তানি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ৮ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের চ্যালেঞ্জে নিতে হবে। বিনামূল্যে মিলবে না পেটেন্ট সুবিধাও। তবে ওষুধ খাতের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সরকারের সহযোগিতা থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
জ্বালানি সঙ্কটের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেসরকারি খাতসহ সবাইকে সচেতন ও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এনএস//