ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন লতিফা-বিজলী, কথা রাখলেন ইউএনও

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২২ রবিবার

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান কথা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর থেকে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের প্রতিবন্ধী নারী লতিফা বেগম এবং আগুনে পুড়ে নিঃস্ব বিজলী বেগমকে বরাদ্দ দিয়েছেন। ঘর পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন এই দুই নারী।

‘ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী লতিফা বেগমের আকুতি একটি হুইল চেয়ার’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ দৃষ্টি গোচর হয় ইউএনও মাহবুবুর রহমানের। গত বছরের ৯ জুন তার বাড়িতে গিয়ে একটি হুইল চেয়ার হস্তান্তর করেন। এ সময়ে লতিফা বেগম থাকার একটি ঘরের দাবি জানান ইউএনও’র কাছে। তাকে ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

ওই বছর আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হন বিজলী বেগমের পরিবার। খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গেলে ইউএনওকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিজলী বেগম। তাকেও একটি ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন ইউএনও।

এক বছর পর ওই দুই নারীকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন ইউএনও। 

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ঘর পেয়ে প্রতিবন্ধী লতিফা বেগম বলেন, “আমার থাকার ঘর ছিলো না। এক বছর আগে ইউএনও স্যার নিজে এসে আমাকে হুইল চেয়ার দেন। তখন একটি থাকার ঘরের দাবি করি। এখন আমাকে একটি ঘর দিয়েছেন। আমি খুব খুশি।”

অপরদিকে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব বিজলী বেগম বলেন, “ঘর পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। আমি কখনো ভাবি নাই, ইউএনও স্যার আমাকে ঘর দিবেন। তিনি নিজে এই চরে এসে আমাদের ঘর দিলেন। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, “গত বছর আমি শাখাহাতীর চরে গিয়ে প্রতিবন্ধী ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময়ে চরের জন্য ঘর বরাদ্দ ছিলো না। পরে নতুন করে চরে ঘরের বরাদ্দ পেতে সময় লেগেছে। যার ফলে তাদের ঘর দিতে দেরি হয়েছে। তবে ৩য় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর তাদেরকে দেয়া হয়েছে।”

ইউএনও আরও জানান, চিলমারীতে কেউ গৃহহীন না থাকবেন না। যাদের থাকার ঘর নেই, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়ার জন্য।

আরএমএ/এএইচ