ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘প্রধানমন্ত্রী সততা ও দূরদর্শিতা দিয়ে দেশকে ডিজিটালে পরিণত করেছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৮ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৫:৫৯ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২২ রবিবার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে গত ১৩ বছরে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আইসিটিখাতে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। আইটি/আইটিএস খাতে ২০ লক্ষ তরুণ, তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। 

বর্তমানে এ খাত থেকে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হচ্ছে। দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।

প্রতিমন্ত্রী রোববার (২৪ জুলাই) নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নাটোর আইটি/হাইটেক পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়ায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে। গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে তরুণরা আর চাকুরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকুরি দিবে। 

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই হাই-টেক পার্কে থাকছে স্টিল স্ট্রাকচারের সাততলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন, তিনতলা ডরমেটরি ভবন, একটি সিনেপ্লেক্স ভবন, খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এসব স্থাপনার মাধ্যমে সিংড়ায় একটি চমৎকার ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করবে এই ‘হাই-টেক পার্ক’।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করতে গিয়ে ভারতের যে সকল সেনা সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে এখান থেকেই আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিকস, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে।

ভারতীয় হাই কমিশনের বলেন, এই হাইটেক পার্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত ও সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। 

তিনি আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারি বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, নাটোর জেলার জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক ফজলুল হক।

এসি