ইমন হত্যা: মারামারির জের ধরে ৩ মিনিটে মিশন শেষ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:৫২ এএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার
কক্সবাজারের আলোচিত ইমন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ খান (২৭)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল্লাহ স্বীকার করেছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে হত্যা করা হয়। এতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ মিনিট।
রোববার (২৪ জুলাই) টেকনাফ উপজেলার কচুবনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ খান কক্সবাজার শহরের পেশকারপাড়া খাইরুল আহমদের ছেলে।
এসময় নিহত ইমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রোববার বিকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ এতথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২১ জুলাই রাতে কক্সবাজার শহরের পেশকারপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমন হাসান মাওলা (২৪) খুন হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল খান ওরফে আবদুল্লাহ খান (২৭) তার কয়েকজন সহযোগীসহ ইমনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
একপর্যায়ে তারা ইমনকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে এবং ইমনের সাথে থাকা মোটরসাইকেল নিয়ে আব্দুল খান ওরফে আব্দুল্লাহ খান পালিয়ে যায়। পথচারীরা গুরুতর আহত ইমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে ইমনের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আব্দুল্লাহ খানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার।
পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে র্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার অভিযানে নামেন। এক পর্যায়ে কক্সবাজারের টেকনাফ কচুবনিয়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সে এই ঘটনা ঘটায়।
সে জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরে ভিকটিম ইমন হাসান মাওলার পিতার একটি দোকান রয়েছে। গত কয়েক মাস আগে সেই দোকানে ইমনের পিতার সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। এই বাগবিতণ্ডার জের ধরে ভিকটিম ইমন ও তার সহযোগীদের সাথে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
উক্ত মারামারির ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আব্দুল্লাহ খান সুযোগ খুঁজতে থাকেন এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ জুলাই রাতে সে উক্ত হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়।
এএইচ