ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি কর্মীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮ এএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার

ফিও জেয়া থাও মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী সুচির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ফিও জেয়া থাও মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী সুচির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি কর্মীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। 

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে সোমবার (২৫ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

দেশটিতে বিচারিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা তিন দশকের মধ্যে এটিই প্রথম। 

যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তারা হলেন- গণতন্ত্রপন্থি কর্মী কিয়াও মিন ইউ, সাবেক আইন প্রণেতা ও হিপ-হপ শিল্পী ফিও জেয়া থাও, হ্লা মিও অং ও অং থুরা জাও। 

তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস ও অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। 

চারজনের মধ্যে ফিও জেয়া থাও মিয়ানমারের অন্যতম রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন আইনপ্রণেতা ছিলেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। 

গেল জানুয়ারি মাসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর ক্লোজ ডোর ট্রায়ালে দেশটির আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। 

জানা যায়, তাদের বিরুদ্ধে গত বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিলিশিয়াদের সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

এ ঘটনার পর বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ। তাদের দুজন বিশেষজ্ঞ পরিকল্পিত মৃত্যুদণ্ডকে জনগণের মধ্যে ভয় জাগানোর একটি ‘জঘন্য প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)। গত ২২ জুলাই দ্য হেগ শহরে আদালত এই রায় দেয়। 

মামলার শুনানির সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, গণহত্যা কনভেশনের সদস্য হিসেবে গাম্বিয়া এই মামলা করতে পারে এবং মামলার যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে আদালত মামলা এগিয়ে নিতে পারে।

এএইচএস