প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মাউশি কর্মকর্তা গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০২:২০ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের মামলায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ডিবি)।
৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাকে রোববার (২৪ জুলাই) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচাথেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রিমান্ডের জন্য সোমবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
গত ১৩ মে অনুষ্ঠিত হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা। এতে ৫১৩টি পদের বিপরীতে অংশ নেন প্রায় পৌনে দুই লাখ চাকরিপ্রার্থী। এরপর থেকেই নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিলের জোর দাবি উঠে।
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ ইডেন মহিলা কলেজে অভিযান চালিয়ে সুমন নামে একজনকে আটক করে। তার প্রবেশপত্রে ছোট ছোট অক্ষরে লেখা ছিল উত্তর।
তাকে আটকের পর প্রশ্নফাঁসের চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ডিবি। তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা যায়, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর চলে আসে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গণিত শিক্ষক সাইফুল, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের লেকচারার রাশেদুল ও মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের সকলের দেয়া তথ্যে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নটি চন্দ্র শেখর হালদার মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
এরপর থেকে মিল্টনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
এএইচএস