ট্রেনে উঠেই ঘুম, পর দিন সকালে ঘুম ভাঙতেই চোখ কপালে যাত্রীর!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৪:৫৯ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার
ইংল্যান্ডের এক যাত্রী ট্রেন ছাড়ার আগেই দিয়েছিলেন ঘুম। আর ঘুম যখন ভাঙল, তখন দেখলেন গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছনো তো দূর, স্টেশনই ছাড়েনি ট্রেন।
সিটে বসে চলন্ত ট্রেনের মৃদু দোলায় দু’চোখের পাতা লেগে আসে অনেকের। কিন্তু জিম মেটকাফে নামের এক যাত্রী ট্রেন ছাড়ার আগেই দিয়েছিলেন ঘুম। আর ঘুম যখন ভাঙল, তখন তিনি দেখেন গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছনো তো দূর, স্টেশনই ছাড়েনি ট্রেন!
৪৩ বছর বয়সি জিম জানিয়েছেন, কর্মসূত্রে প্রায় ১৫ বছর ধরে স্কটল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডগামী রেলের ওই শাখায় যাতায়াত করছেন তিনি। আর পাঁচ দিনের মতো রাত সাড়ে ১০ টায় নিজের সিটে পৌঁছে যান তিনি। রাতে গ্লাসগো থেকে রওনা হয়ে পর দিন ভোরে লন্ডনে পৌঁছে যায় ট্রেনটি। তাই রাতটুকু সাধারণত ট্রেনেই ঘুমিয়ে নেন যাত্রীরা। সেই মতো জিমও ১১টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম ভাঙে পর দিন ভোর ৫টার পর। কিন্তু ঘুম ভেঙে তো চক্ষু চড়কগাছ তার। দেখেন লন্ডন তো নয়ই, গ্লাসগোতেই ঠায় দাঁড়িয়ে তার ট্রেন।
গোটা ঘটনাটি নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন জিম। জানিয়েছেন, ১৫ বছরের ট্রেনযাত্রায় বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলেও এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। কিন্তু কেন এমন হল? ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমকে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তীব্র গরমে ব্রিটেনের একাধিক স্থানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছে পারদ। আর এই তাপ প্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলের ট্র্যাকও, ফলে বাতিল করতে হয়েছে বহু ট্রেন। জিম যে ট্রেনে উঠেছিলেন সেই ট্রেনটিও বাতিল হয়ে যায়। ঘুমিয়ে পড়ায় তা জানতে পারেননি তিনি।
এসবি/