খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ (ভিডিও)
মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৭ এএম, ২৬ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২৮ এএম, ২৬ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার
ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি। তাই হুন্ডি বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রেকর্ড-সংখ্যক কর্মী বিদেশ যাওয়ার পরও প্রত্যাশিত গতি আসছে না রেমিট্যান্সে। ডলারের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি হুন্ডি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ তাদের।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত প্রাবাসী আয় বা রেমিটেন্স। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাত থেকে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার আয় করে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানো বেড়ে যাওয়ায় বেশি শ্রমিক বিদেশ গমনের পরও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে না।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “যেটা অন্য চ্যানেলে আসছিল সেটা সরকারি চ্যানেলে আসছিল। এখন আবার অন্য চ্যানেলগুলো খুলে গেছে, মানুষ বাইরে যাচ্ছে। কাজেই মানি চেঞ্জারার্সদের দাপট আবার বেড়ে গেছে। তারা এখন ই-বিজনেসে। তাদের টাকাটা কোথা থেকে আসবে, রেমিটেন্সের টাকা থেকেই। ফলে রেমিটেন্স আগের অবস্থায় চলে গেছে। এ কারণেই গত বছর কমেছে।”
শিগগিরই খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, শ্রমশক্তি রপ্তানি আরও বাড়বে। তবে খোলাবাজার ও ব্যাংক ব্যবস্থার মধ্যে ডলারের দামের পার্থক্য না কমালে হুন্ডি ঠেকানো কঠিন বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সার্বিকভাবে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়বে। কিন্তু একটা অংশ সবসময়েই এই প্রদর্শিত খাত থেকে আসবে। ব্যাংক এবং কার্ব মাকেটের মধ্যে যে পার্থক্যটা আছে এটা যতদিন থাকবে ততোদিন কার্ব মার্কেট দিয়েই টাকা আসবে। ইন্টার ব্যাংকে কোন লেনদেন হবে না।”
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটির তথ্য বলছে, গেল অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন, যা গেল সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এএইচ