ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

‘পরিবারের জামায়াত সম্পৃক্ততা’, বেলকুচি যুবমহিলা লীগ নেত্রীকে নিয়ে ক্ষোভ 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:০২ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২২ বুধবার

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি সুমা খাতুনের পরিবার জামায়াতে ইসলামের রাজনীতিতে জড়িত এমন অভিযোগ ওঠার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, সুমা খাতুনের বাবা জামায়াত এবং তার এক চাচা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যদিও সুমা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

গত ২৩ জুন বেলকুচি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে সুমা খাতুনকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা দেওয়ার পরই শুরু হয় সমালোচনা। 

ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে জামায়াতের রাজনীতি পরিবারের মেয়েকে সভাপতি করায় কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জেদ্দা পারভীন রিমি ও জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক রুমনা রেশমার বিরুদ্ধে সমালোচনাও হচ্ছে।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, “বেলকুচি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে যাকে সভাপতি করা হয়েছে সে কোনো আওয়ামী পরিবারের না। কোথা থেকে কাকে ধরে এনে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়া হয়েছে তা বোধগম্য নয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে তার বাবা জামায়াতে ইসলামের পদধারী নেতা, তার চাচা বিএনপির কর্মী। এই কমিটি পুনঃগঠনের দাবি জানাই।”

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জেদ্দা পারভীন রিমি বলেন, “সকলকে সাথে নিয়েই কমিটি ঘোষণা করেছি। আসলে অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ হয়নি। তবে সুমা খাতুন শিক্ষিত ভদ্র, তার দক্ষতা আছে এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়া হয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলাম পরিবারের মেয়ে সেটা জানা নেই।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেলকুচিতে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সুমা খাতুন বলেন, “আমি কিংবা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের জামায়াতে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারে সদস্য। ছোট থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি পছন্দ করি। কলেজ জীবনে রাজনীতি করিনি। এটিই প্রথম রাজনীতিতে আসা ও পদ পাওয়া।”

এদিকে কমিটি বাতিল করে পুনরায় নতুন করে ত্যাগী নেত্রীদের নিয়ে কমিটি না করলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেত্রী বিন্দু।

এএইচ