ধর্ষণ: ২০ বছর পর দুই আসামির যাবজ্জীবন
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৫৬ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার
দীর্ঘ ২০ বছর পর রংপুরের মিঠাপুকুরে কিশোরী অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। দুই ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১’র বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৪ মে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের কিশোরী মেয়ে একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে যান। ওই দিন রাত ৮টার দিকে সে ওই বাড়ির পাশে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় আসামি রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম কিশোরী মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে বাড়ির অদূরে নিয়ে উপযুপরি ধর্ষণ করে।
মেয়েটির আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে পীরগজ্ঞ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক পীরগজ্ঞ থানাকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই খলিলুর রহমান দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামি রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলমকে অপহরণে দোষি সাব্যস্ত করে যাজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে, গণধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার রায় দেয়। উভয় দণ্ডই একসঙ্গে পালন করার আদেশ দেয় আদালত।
সরকার পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী পিপি রফিক হাসনাইন অ্যাডভোকেট বলেন, ২০ বছর পরে হলেও কিশোরী মেয়েকে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ প্রদানে বাদী ও সরকার পক্ষ সন্তুষ্ট।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পক্ষের কোন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
পরে আসামিদের আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এএইচ