সন্তান আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়ছে না তো? বুঝবেন কীভাবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ২৯ জুলাই ২০২২ শুক্রবার
যতদিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ব্যস্ততা। ইঁদুরদৌড়ে শামিল হতে গিয়ে ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছি আমরা। একাকীত্বের জেরে ঘিরছে বিষাদ। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন। মানসিক অবসাদের শিকার কিশোর কিশোরীরাও।। আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছে অনেকে।
মনোবিদরা বলছেন, একজন অভিভাবকের সামান্য কয়েকটি পদক্ষেপেই রোখা যেতে পারে সন্তানের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন লক্ষ্মণগুলি দেখে বুঝবেন আপনার সন্তান আত্মহত্যাপ্রবণ:
নিজের শখের প্রতি আপনার সন্তান উৎসাহ হারালে সাবধান হোন।
প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে আচমকা সন্তানের দূরত্ব বাড়ছে কিনা, খেয়াল করুন।
বারবার সন্তান মৃত্যুর কথা বললে সাবধান হোন।
নেতিবাচক কথাবার্তা বলছেন কিনা সন্তান খেয়াল রাখুন।
ক্ষণিকের মধ্যে সন্তানের বারবার মুড বদল হচ্ছে কিনা, নজর দিন।
নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে সচেতন হোন।
হঠাৎ করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে সাবধান হোন।
ঠিক কী কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা?
যৌন হেনস্তা: বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় কিশোর-কিশোরীরা যৌন হেনস্তার শিকার হয়। তারা ভয়ে বাবা-মায়ের কাছে সেকথা বলতে পারে না। তার ফলে ক্রমশ একা হয়ে যেতে থাকে। নিজের প্রতি ঘৃণা করতে শুরু করে। একসময় আত্মহত্যার পথও বেছে নেয় তারা।
হীনমন্যতা: অনেক সময় কোনও পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল হলে হীনমন্যতায় ভোগে পড়ুয়ারা। তার ফলে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় কেউ কেউ।
কটাক্ষ: কেউ একটু মোটা। আবার কেউ বেঁটে। যেকোনও মানুষই নিজের মতো। তা সত্ত্বেও দেহের গঠন নিয়ে অনেক সময় মশকরা নিতে পারে না অনেকে। তার ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেকেই।
প্রিয়জনের মৃত্যু: বহুক্ষেত্রেই কিশোর কিশোরীদের আত্মহত্যার কারণ হিসাবে প্রিয়জনের মৃত্যু প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানসিক অবসাদে ভোগে তারা। তার জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা।
সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকরা বন্ধুর মতো মেলামেশা করুন। সন্তানের মনখারাপের উপর আরও একটু গুরুত্ব দিন। তাহলেই মিটবে সমস্যা। মনখারাপের মেঘ সরে উঠবে হাসির ঝিলিক। আত্মহত্যার পথ ছেড়ে ফের স্বাভাবিক স্রোতে ভাসতে থাকবে আপনার সন্তান।
এসবি/