ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

মিরাজের হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফাইনালের পথে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০১ এএম, ৩০ জুলাই ২০২২ শনিবার

দুই গোলদাতা রফিকুল (বামে) ও হ্যাটট্রিকম্যান মিরাজুল ইসলাম

দুই গোলদাতা রফিকুল (বামে) ও হ্যাটট্রিকম্যান মিরাজুল ইসলাম

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের জয়রথ অব্যাহত রয়েছে। মিরাজুল ইসলামের হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। এই জয়ে টানা তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।

শুক্রবার রাতে ভারতের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মিরাজুল-রফিকুলরা একচেটিয়া প্রাধান্য নিয়ে খেলে হারিয়েছে মালদ্বীপকে।

শ্রীলঙ্কা, ভারতের পর মালদ্বীপকেও হারিয়ে টানা তিন জয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে ফাইনালের কাছাকাছি। এখন অপেক্ষা নেপাল ও ভারতের বাকি দুই ম্যাচের।

বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল। চার গোলের তিনটিই করেন শ্রীলঙ্কাকে হারানোর নায়ক মিরাজুল ইসলাম। একাদশে জায়গা পেয়েই নিজের জাতটা চেনাতে ভুল করেননি এই তরুণ।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে মিরাজুলের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। রফিকুলের পা থেকে আসে তৃতীয় গোল। এই গোলেও রয়েছে মিরাজুলের অবদান। ৩২ মিনিটে মিরাজুলের বাড়িয়ে দেওয়া বলেই গোলটি করেন রফিকুল।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে মিরাজুল নিজের হ্যাটট্রিক ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন। 

দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে আরও একটি গোল পেতে পারতেন মিরাজুল। কিন্তু ৮৪ মিনিটে তার জোরালো শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে।

বাংলাদেশের চার গোলের একটি করেছেন রফিকুল ইসলাম। সেটিতেও মিরাজুলের অবদান। ৩২ মিনিটে মিরাজুলের বাড়িয়ে দেওয়া বলেই গোলটি করেন রফিকুল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মালদ্বীপে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। ৫৩ মিনিটে জাইন জাফরের গোলে মালের ছেলেরা হারের ব্যবধানই যা একটু কমিয়েছে। এটিই টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম গোল। এরপর আর সেভাবে গোলের জন্য আক্রমণ করতে পারেনি তারা।

ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোলদাতা পিয়াস আহমেদ নোভাও এদিন কয়েকটি গোলের সুযোগ মিস করেন।

বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ এবং ভারতকে ২-১ গোলে হারায়। মালদ্বীপকে হারিয়ে এবার ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পল স্মলির দল। 

বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে ২ আগস্ট।

বাংলাদেশ একাদশ
মো.আসিফ, তানভীর হোসেন, শাহীন মিয়া, আজিজুল হক, ইমরান খান, রফিকুল ইসলাম (হাসান জুম্মন নিঝুম), শহিদুল ইসলাম, পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম (জনি), মিরাজুল ইসলাম ও মুর্শেদ আলী।

এএইচ