বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ৩০ জুলাই ২০২২ শনিবার
ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী ৩০ জুলাই। ১৯৮৭ সালের এদিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার জন্ম ১৮৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায়। তার বাবার নাম বিপিনবিহারী মুখোপাধ্যায়।
তিনি দ্বারভাঙ্গা রাজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। তার কর্মক্ষেত্র ছিল বৈচিত্র্যময়। প্রথম দিকে তিনি ইন্ডিয়ান নেশন পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষের পদে আসীন ছিলেন। পরে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় মহারাজের সচিব হিসেবেও কাজ করেন। কিছুকাল শিক্ষকতাও করেছেন।
১৯১৬ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা এবং ধনী পরিবারে গৃহশিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতা চলাকালে তিনি নিজেকে লেখার কাজে নিয়োজিত করেন। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের তিনি রচয়িতা। তার জনপ্রিয়তম উপন্যাসটি হলো নীলাঙ্গুরিয়। এ ছাড়া তিনি অনেক কৌতুক ও রঙ্গরসের গল্পও লিখেছেন।
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কৌতুক গল্পের বই বরযাত্রীর ছয় বন্ধু গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ বাংলা রসসাহিত্যে বিশেষভাবে আলোচিত। অল্প দু-চার কথায় জীবন্ত চরিত্র সৃষ্টি করা বা একটা সমাজকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। কৌতুক রসের এ রকম বই হিসেবে বরযাত্রী সিরিজ বাংলা সাহিত্যে অনন্য।
কৌতুক রসের তার আরেকটি বিখ্যাত সৃষ্টি রানু সিরিজের গল্পগুলো। কিন্তু বিভূতিভূষণের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। ছোটদের জন্য পূজাসংখ্যায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন, পোনুর চিঠি ও অন্যান্য নানান গল্প, যা পরিণতমনস্ক পাঠকরাও পরম উৎসাহে পড়েছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ‘ডি.লিট’ উপাধি প্রদান করে। তিনি ‘আনন্দ পুরস্কার’, ‘শরৎস্মৃতি পুরস্কার’ ও ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন।
এসএ/