চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্ধেক চালুর উদ্যোগ (ভিডিও)
একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২২ রবিবার
কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না। এখন পর্যন্ত কাজের ৬৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী বছরের শুরুতে অর্ধেক অংশ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন ২০১৯’র ২৪ ফেব্রুয়ারি। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। নানা জটিলতায় কাজে বিঘ্ন হওয়ায় কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্ধেক অংশ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, “পতেঙ্গা থেকে নীমতলা পর্যন্ত এই ৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে চালু করে দেওয়া হবে।”
এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের অর্ধেক অংশ গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে বিমানবন্দরের যাত্রী ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকদের যাতায়াতে অনেক সময় সাশ্রয় হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং বিদেশি ক্রেতারাও চট্টগ্রামমুখী হবেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “বন্দর থেকে শহরে আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগতো। এটার ফলে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছতে পারবো। কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে।”
প্রকল্প পরিচালক মাজফুজুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো যৌক্তিক প্রয়োজন।
সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “পোর্ট কানেক্টিং হয়ে বিচের দিকে যদি ফ্লাইওভার দিয়ে একটি রোডের সংস্থান করতে পারি সেক্ষেত্রে যান চলাচল অনেকাংশে স্বাভাবিক হবে।”
লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শুরুর পর আপত্তি জানায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। নকশায় ত্রুটি, সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করে তড়িঘড়ি করে প্রকল্প অনুমোদনের কারণে সময় ও ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
পরে নকশা নিয়ে বন্দর ও পুলিশের আপত্তিতে বেশ কিছু অংশে সংশোধন আনা হয়।
এএইচ