নির্বাচনী ব্যবস্থার বদল চায় জাতীয় পার্টি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৩:১৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২২ রবিবার
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমে অনাস্থার কথা জানিয়ে সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি বলেছে, ইভিএমে ভোট হলে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে সন্দিহান দল।
রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিনে সকালে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।
সংলাপে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে নির্বাচন ব্যবস্থা, তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না। নির্বাচন ব্যবস্থা চেঞ্জ করতে হবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য।
“যে সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে তাদের যদি আন্তরিকতা না থাকে, ইসি সহযোগিতা না করে তাহলে ফেয়ার নির্বাচন সম্ভব নয়।”
চুন্নু বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে যারা কাজ করবে তারা যদি কথা না শোনে তাদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারে সেরকম আইন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “সুপারিশে কাজ হয়না। ইসি কেনো ব্যবস্থা নেয়না। ইসিকে পাওয়ার দিতে চাচ্ছি আইন করে, যাতে ইসি ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা আমাদের প্রস্তাব।সিস্টেম পরিবর্তন করতে পারলে আলটিমেটলি গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।
“রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা না করলে আপনারা অসহায়। ইলেকশন সিস্টেম এখানে সমস্যা। রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত নাই। ইভিএমে আস্থা আসে নাই, ইভিএমে নির্বাচনে যাব কিনা সেটা সন্দেহ । কারচুপি হবে জেনেও নির্বাচনে যাই কারণ নির্বাচন বর্জনের চর্চা নাই আমাদের।”
বিরোধী দলের মহাসচিব বলেন, “রাজনৈতিক দল নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায় না। বড় দুই দল চাইলে তা সম্ভব কিন্তু তারা চায় না।”
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল বলেন, “সুন্দর সিস্টেম চাচ্ছেন, ভোট কারচুপি করতে চাচ্ছেন না। সিস্টেম পরিবর্তনে সচল ভূমিকা রাখতে পারেন আপনারা।”
তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে বলেন, “আন্তরিকভাবে সর্বাত্মক অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে ইসি। নির্বাচনের মাঠে যদি প্রতিপক্ষ থাকে, প্রতিদ্বন্দ্বী দল থাকে তাহলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন, মাঠে থাকবেন।”
বিধিবিধান ও আইনের আলোকে ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়ে তিনি এ সময় আশ্বস্ত করেন।
“আশা করি সব ধরনের সহযোগিতা পাব। সবার আন্তরিক চেষ্টা ও সদিচ্ছা থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব,” বলেন সিইসি।
সবশেষ দল হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে।
এএইচএস/এমএম