ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

‘প্রবাস বন্ধু’ পদক পেলেন ফকরুল আকম সেলিম

ফয়সাল আহাম্মেদ দ্বীপ, প্যারিস, ফ্রান্স

প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২২ রবিবার

প্যারিসে ইউরো বাংলা প্রেস ক্লাব কর্তৃক অনুষ্ঠিত ‘প্রবাসীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে ‘প্রবাস বন্ধু’ পদক দেয়া হয়েছে দক্ষিণ ফ্রান্সের পিংক সিটি তুলুজের বাসিন্দা, বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজের সভাপতি এবং অল ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা) এর অন্যতম সহসভাপতি ফকরুল আকম সেলিমকে। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াছমিনের হাত থেকে তিনি এই পদকটি গ্রহণ করেন। এর আগে অনুষ্ঠানে ইউরো বাংলা প্রেস ক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাইজুল ফয়েজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আয়েবা মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহসহ লন্ডন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গরা। আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে প্রবাসীরা ২৫টি দাবি উত্থাপন করেন এবং গুনী তিন বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে প্রবাস বন্ধু পদকে ভূষিত করেন। 

মূলত তুলুজে ফ্রান্সের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ এবং প্রবাসীদের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী বলিষ্ট নেতৃত্ব দেয়ায় ফকরুল আকম সেলিমকে প্রবাস বন্ধু পদকে ভূষিত করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ফকরুল আকম সেলিম বলেন, যে কোন কাজের মূল্যায়ন বা স্বীকৃতি পেলে একটু আনন্দই লাগে। আমি দীর্ঘ এই প্রবাস জীবনে সবসময় প্রবাসীদের স্বার্থেই কাজ করে আসছি। এবং অদূর ভবিষ্যতেও এ দ্বারা অব্যাহত থাকবে। 

তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে তুলুজে বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব পালন করছি এছাড়াও ইউরোপীয়ান ও আর্ন্তজাতিক নানা সংগঠনের সাথে জড়িত মূলত দেশীয় কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি বিনিময় করা, নতুন প্রজন্মকে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া এছাড়াও প্রত্যেকটা প্রবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থাকা, ব্যাক্তিগত ও ব্যাবসায়ীক যে কোন পরামর্শ দিয়ে তাদের উত্তরত্তর সাফল্য সমৃদ্ধ করা সহ নানা কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখছি। সবার সহযোগীতায় ফ্রান্সের প্রথম তুলুজে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পেরেছি। প্রতিবছর মাতৃভাষা দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ, ঈদ, বড়দিন ও পূজা পার্বনে একে অপরের সাথে সৈৗহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বে বন্ধনে অটুট রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখছি। 

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, তুলুজে শহীদ নির্মাণ করা অনেক কঠিন কাজ ছিলো। একসময় এটা নির্মাণ একটা স্বপ্ন ছিলো এখন তা বাস্তব। এই শহীদ মিনার তুলুজে নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা ও ভাষার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চা হওয়ার একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে শুধু তাই নয় নতুন প্রজন্মকে দেশ প্রেমে উদ্ভোদ্ধ করবে। একই সাথে উভয় দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ে সহায়ক হবে। এছাড়াও বহুমুখী কল্যাণ বয়ে আমার বিশ্বাস। 

ইউরো বাংলা প্রেস ক্লাবকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা আমার কাজকে মূল্যায়ন করেছেন এবং স্বীকৃতি দিয়েছেন। এভাবে অন্যরাও উৎফুল্ল হবে এবং ভালো কাজের সাথে যুক্ত হবে। 

ইউরো বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তাইজুল ফয়েজ বলেন, আমরা একটি ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান করতে চেয়েছি, প্রবাসীদের দাবিগুলো উচ্চ পর্যায়ে পৌছাতে চেষ্টা করেছি পাশাপাশি গুনীদের মূল্যায়ন করতে পেরেছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

এসি