ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: ট্রাইব্যুনালে বিচার চান বিচারপ্রার্থী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ১ আগস্ট ২০২২ সোমবার

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক নারীকে গণধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে।

সোমবার (১ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম লিটন এ রিট দায়ের করেন। তিনি জানান, গত বছরের (২০২১) জানুয়ারি মাসে ধর্ষণ মামলায় এবং চলতি বছরের মে মাসে চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী এ রিট করার অনুমতি নিয়েছেন।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহ পরান থানায় মামলা করেন।

মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। 

অভিযোগ পত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।

এছাড়া, এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আবেদন করলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেয়া হয়।

এসি