জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪২ পিএম, ১ আগস্ট ২০২২ সোমবার
জুলাই মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। যা স্থানীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুয়ায়ী এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (১ আগস্ট) রেমিট্যান্সের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তথ্য বলছে, একক মাস হিসাবে এই অংক গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ বা ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীরা এখন ডলারের রেট বেশি পাচ্ছেন, এছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এ কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে। আশা করছি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
গত জুন মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এ হিসেবে জুলাই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬ কোটি ডলার বেশি পাঠায়। তার আগের মাস মে-তে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের জুলাই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এদিকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে এখন ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা রেটে ডলার বিক্রি করছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
তবে বিভিন্ন ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন ব্যাংকগুলো আমদানি বিলের জন্য নিচ্ছে ৯৭ থেকে ১০০ টাকার ওপরে, নগদ ডলার বিক্রি করছে ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা, আর ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হয় ১০৯ থেকে ১১০ টাকা।
বর্তমান সময়ে ডলার সংকট চলছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয় এমন সব প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম যাচ্ছে। হুন্ডি বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় ডলার কেনা-বেচা করছে কি না দেখবে পরিদর্শন টিম।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলার নিয়ে এখন নানা সংকট চলছে। ডলারে অনিয়ম পেলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এর আগেও আমরা ১০ টি টিম মার্কেটে পাঠিয়েছি। আভিযানিক এ টিম ডলার মার্কেটে কিছু তথ্য পেয়েছে যা রুলস রেগুলেশন কাভার করে না। লাইসেন্স নেই এমন প্রতিষ্ঠানও ডলার কেনা-বেচনার সঙ্গে জড়িত, এমন তথ্যও এসেছে। আবার একটি লাইসেন্স নিয়ে দুটি শাখায় ব্যবসা করছে। এমনটি যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এসি