মার্কিন হামলায় আল–কায়েদা নেতা জাওয়াহিরি নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ২ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪৫ এএম, ২ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাওয়াহিরি (ফাইল ছবি)
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হামলায় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১ আগস্ট) টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে রোববার ড্রোনের মাধ্যমে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “জাওয়াহিরি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা চালিয়েছিলেন। এই সন্ত্রাসী নেতার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার সময় আল–কায়েদার এই নেতা কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়।
ওই বাড়িতে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তবে হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানের এক মুখপাত্র।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার মতে, ২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান যে চুক্তি করেছিল, কাবুলে জাওয়াহিরির উপস্থিতিতে তা লঙ্ঘন হয়েছে।
এদিকে, বাইডেনের ঘোষণার আগেই জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর সামনে আনে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। সিবিএস তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর নিশ্চিত করেছিল। সূত্রের বরাত দিয়ে একই তথ্য জানিয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন।
২০১১ সালে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন জাওয়াহিরি। ওসামা বিন লাদেন বেঁচে থাকা অবস্থায় জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার দ্বিতীয় প্রধান মনে করা হতো।
পেশায় শল্যচিকিৎসক ছিলেন জাওয়াহিরি। তাকে আল-কায়েদার তাত্ত্বিক গুরু বলে মনে করা হতো।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার তিনিই ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী। তাকে ধরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
আরএমএ/এএইচ