ড. ইউনূস-গ্রামীণ টেলিকমের বিষয়টি দেখবে দুদক: হাইকোর্ট
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ২ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:২৩ পিএম, ২ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের সমঝোতার বিষয়ে অনৈতিক কিছু হয়েছে কি না তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেখবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট৷ সেইসঙ্গে ১২ কোটি নয় বরং ১৬ কোটি টাকা ফি নিয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউসুফ আলী।
মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা ফি নেয়ার কথা প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেড ইউনিয়নের একাউন্টে ২৬ কোটি টাকা জমা হলেও অবশিষ্ট ১০ কোটি টাকা রয়েছে ইউনিয়নের কাছেই।
আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, ড. ইউনুস ও গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের সমঝোতা বিষয়ে অনৈতিক কিছু হয়েছে কি না তা দুদক দেখবে বলেও জানান আদালত।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে করা মামলায় ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে সমঝোতার অভিযোগে আইনজীবী ইউসুফ আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়।
এদিকে, গতকাল সোমবার (০১ আগস্ট) মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের ৪ জনের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি করেছে দুদক।
গত ২৮ জুলাই দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে কমিশন।
গত ২৫ জুলাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের মামলার শুনানি আবার পেছানো হয়। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয় ১১ আগস্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। এর আগে গত ৬ জুন ড. ইউনূসের মামলা ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী না করা। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন না করা। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি।
এদিকে সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের আবেদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধান করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দুদক।
এসবি/