ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় আসাম

স্মৃতি মণ্ডল

প্রকাশিত : ০৪:২৩ পিএম, ২ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রদেশ আসাম বা অসম; হিমালয়ের দক্ষিণে এর অবস্থান। প্রদেশের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ, রয়েছে বরাক উপত্যকা এবং উত্তর কাছাড় পর্বতমালা। 

উত্তর-পূর্ব ভারতের আরো ছয়টি রাজ্য- অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়বেষ্টিত আসামের এক তৃতীয়াংশ অধিবাসী বাঙালি। অসমীয়া ভাষা অসম রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং রাজ্যের সমস্ত কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়। 

ব্রহ্মপুত্র নদকে ঘিরে বিকশিত হয়েছে আসামের সভ্যতা ও বাণিজ্য। চা, রেশম, পেট্রোলিয়াম এবং জীববৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত আসাম। এক শিং এর গণ্ডার সংরক্ষণ করে অবলুপ্তির হাত তাদের রক্ষা করেছে এই রাজ্য। একই সাথে এশীয় হাতির অন্যতম আবাসস্থল আসাম। বুনো মহিষ, বেঁটে শূকর, বাঘ এবং নানান প্রজাতির পাখি সংরক্ষিত হয়েছে এখানে। বণ্যপ্রাণী পর্যটনে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ অঞ্চল। 

একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কামাখ্যা মন্দির, উপমহাদেশের বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার বাড়ি আসামের গোহাটিতে। প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি নানান ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধশালী রাজ্য আসাম। 

ভুটান এবং বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী আসামের দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমাংশে রয়েছে বাংলাদেশ। 
বাংলাদেশ এবং আসামের মধ্যে মিল অনেককিছুতে।  পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সাংস্কৃতিক সর্ম্পকের উন্নয়ন ও প্রসারে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় আসাম। 

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আটদিনের সফরে দেশটি সফর করেন বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা। এই সফরে আসামের গোহাটির সচিবালয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীর সাথে বৈঠক উঠে আসে এসব কথা। 

দুই দেশের যোগাযোগ বাড়াতে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী। বাংলাদেশের বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রয়েছে আসামে। সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের নানা উদাহরণ উঠে আসে বৈঠকে। দুই দেশের ভাষা, সংস্কৃতির মিল থাকায় এই বন্ধন অটুট হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী চন্দ্রমোহন।

এএইচএস