ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

হাবিপ্রবিতে ক্যারিয়ার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ৪ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

শিক্ষার সাথে কর্মক্ষেত্রের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ আয়োজন করেছে ‘ডেভেলপমেন্ট টক’ সিরিজের। 

গতকাল (২ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ ভবনের ৫০২ নম্বার কক্ষে ‘ডেভ টক’ সিরিজের “ক্যারিয়ার ইন ডেভেলপমেন্ট সেক্টর (পাবলিক হেলথ)" শীর্ষক দ্বিতীয় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উক্ত সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির সোস্যাল সায়েন্স এন্ড হিউমেনিটিস অনুষদের ডিন ড. মোঃ গোলাম রব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহমেদ ফ্রেন্ডশিপ এনজিও বাংলাদেশ এর সহকারী পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, টিম লিডার আবু মোহাম্মদ শিহাব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আসাদুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ এবং রুবেল মজুমদার।

উক্ত সেমিনারে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন নাহার বিথী, সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহাবুব চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম এবং সহকারী অধ্যাপক সজীব কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সহকারী অধ্যাপক মোঃ জুয়েল আহমেদ সরকার।

‘ডেভ টক’ সিরিজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার সাথে কর্মক্ষেত্রের সম্পর্ক স্থাপন উচ্চশিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। উচ্চশিক্ষার সাথে কর্মক্ষেত্রের সংযোগ সুসংহত করার জন্য আমরা ‘ডেভ টক’ নামে একটি সিরিজের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের প্রফেশনালদের, বিশেষ করে তরুন প্রফেশনালদের সাথে সংযোগ করিয়ে দিতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তরুন প্রফেশনালদের কাছ থেকে চাকুরীতে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাঁদের সাথে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে কর্মক্ষেত্রের সাথেও যুক্ত হতে পারবে। তরুণ প্রফেশনালদের কর্মক্ষেত্রের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার পথকে সহজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আজকে আমরা এমন একজন বক্তাকে এনেছি যার ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে প্রফেশনাল এবং গবেষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে যা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে সমৃদ্ধ করবে।     

সেমিনারের বক্তারা ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে ক্যারিয়ারের নানানদিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কথা বলেন। তারা বলেন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ একঘেয়ে পড়ালেখা আর নির্দিষ্ট একটি গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বহুমাত্রিক বিষয়। অর্থনীতি, রাজনীতি, পরিবেশ, সমাজবিজ্ঞান, সংস্কৃতি, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, জেন্ডার ও উন্নয়ন, যোগাযোগ, উন্নয়নের কৌশল, গবেষণা পদ্ধতি ও প্রয়োগ, বাজেট ব্যবস্থাপনাসহ মানব উন্নয়নের অনেক বিষয়ে গভীরভাবে জানার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগও অবারিত। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক দক্ষতা। শুরু থেকেই একজন শিক্ষার্থী তার গোলকে সেট করে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারবে।

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, দেশে বর্তমানে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। পুরো দেশটাই একটা ডেভেলপমেন্ট হাবে পরিণত হয়েছে। তাই শুধু বেসরকারি ডেভেলপমেন্ট সেক্টর নয় সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় বর্তমানে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর কদর বেড়েছে। কর্মজীবনে প্রবেশের পরও সরকারি কর্মকর্তাদের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে মার্স্টার্স করার প্রবণতা বাড়ছে। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব বিষয় পড়ে আসার কারণে কর্মক্ষেত্রে দেশি বিদেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিওতে অগ্রাধিকার পায়। এসময়ে ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে কি ধরণের দক্ষতায় গুরুত্বারোপ করতে হবে সেসব বিষয় তাদের আলোচনায় উঠে আসে। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোস্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডীন ড. গোলাম রব্বানী বলেন, তাত্ত্বিক পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রফেশনালদের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদেরকে কর্মজীবনে যুক্ত হতে সহায়তা করবে। তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সার্বিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। 

‘ডেভ টক’ সিরিজের ব্যাপারে বিভাগের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত অভিমত প্রকাশ করেন। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ তাদের ফোকাসড ক্যারিয়ার গঠনে এমন একটি আয়োজন করেছে বলে তারা খুশি।

এসি