ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ১৯ ১৪৩১

‘গাও-গ্রামের মানুষের আমি মুজিব ছাড়া আর কেউ নাই’ (ভিডিও)

প্রণব চক্রবর্তী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৭ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

বঙ্গবন্ধু জীবনের পাঠশালা থেকে শিক্ষা নিয়ে হয়েছেন গণমানুষের নেতা। তাইতো স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও আমৃত্যু বাংলার মানুষকে বুকে জড়িয়েছিলেন পরম মমতায়। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিনের সেই স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল। 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মতো অজপাড়া গাঁয়ের কাদামাটিতে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু একেবারে দরিদ্র পরিবারের সন্তান না হলেও দারিদ্রকে দেখেছেন খুব কাছ থেকেই। তাইতো তিনি কারও শেখ মুজিব আবার কারও মুজিব ভাই।

মানুষের অভাব আর কষ্ট সইতে পারতেন না। জনতার মধ্যে থেকে, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষকে ঘিরে ছিল তাঁর রাজনীতি। 

বন্ধবন্ধুর একান্ত সচিব ফরাস উদ্দিন বলেন, “মাটিতে বসতেন, পিঁড়িতে বসতেন। বলতেন, আয় আয় চা খাবি, আমি তো পান খাওয়াতে পারবো না, আমার সঙ্গে তো পান থাকে না।”

৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিনের স্মৃতিতে আজও জলজলে মহান নেতার সান্নিধ্য।

ফরাস উদ্দিন বলেন, “রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, বলেন গাড়ি থামা গাড়ি থামা। ডাক দিয়ে বললেন, তুই করিমউদ্দিন না, লালমনিরহাটের লোক না। এই বলে তাকে জড়িয়ে ধরেন। দুপুরে খেতে বসে ডাক দিলেন, এই রহিম খানা খেয়েছো। না, মামা আমি পড়ে খাব। বস এখানে। এটার কারণটা হলো তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন।” 

বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন ইতিহাসের নায়ক, বরপুত্র আবার অন্যদিকে তিনি ইতিহাস্রষ্টাও। স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও আমৃত্যু বাংলার সব মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন, সবটুকু ভালবাসা দিয়ে।

ফরাস উদ্দিন বলেন, “আমার কাছে এখন বড় বড় লোকেরা খুব বেশি সংখ্যায় আসে, তাদের কাজ তুই ফরাসউদ্দিন করে দিস বা না দিস তারা ঠিকই আমার কাছে আসবে, কাজটি করিয়ে নিবে। কিন্তু গাও-গ্রাম থেকে আসবে, গায়ে গন্ধ আছে, পরণে জীর্ণশীর্ণ তাদেরকে যেন কেউ ঠেকাতে না পারে, সেটা দেখবি। তাদের কিন্তু আমি মুজিবর ছাড়া আর কোন লোক নাই। কতো বড় মাপের মানবদরদী বলে এরকম কথা বলেতে পারেন।”

বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর রাজনৈতিক ব্রত থেকে তিনি বিচ্যুত হননি কোনদিনই।

ফরাস উদ্দিন বলেন, “আমরা যে গণভবন বানালাম, বেগম মুজিব ব্যাখ্যা করতেন এভাবে- তোরা যে ষড়যন্ত্র করেছিস তোদের বঙ্গবন্ধুকে মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে গণভবনে নিয়ে যাবি, আমি এটা হতে দিব না।”

এএইচ