শেখ কামাল এক বিস্ময় প্রতিভার নাম: শেখ পরশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫২ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটোরিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ৭১ টিভি’র প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু। সভাপতিত্ব করেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এর পূর্বে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ধানমণ্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে এবং ৯:১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে যুবলীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমার দৃষ্টিতে শেখ কামাল একটি বিস্ময়ের নাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল ছিলেন একজন বন্ধুসুলভ কারিস্মাটিক মানুষ। তিনি ছিলেন একাধারে তুখোড় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সংগঠক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে ফিরে গেলে আমরা শেখ কামালের মধ্যে এক দেশপ্রেমী যোদ্ধাকে দেখতে পাই। ২৬শে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা ৩২ নম্বরের বাসা আক্রমণ করার পর শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের জন্য বেরিয়ে পড়েন। তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করে অনেক কষ্টে এপ্রিলের মাঝামাঝি গোপালগঞ্জ পৌঁছান। শেখ কামাল তার ফুফাতো ভাই, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ দাদাভাই ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরীসহ কাশিয়ানীর ব্যাসপুরে আশ্রয় নেন এবং নিরাপত্তার কারণে কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করেন। পরে শেখ কামাল এবং দাদাভাই ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার চাপতা বাজার থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রাজাকারদের চোখ এড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ইছামতি নদী পাড়ি দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দেবহাতটা-হাসনাবাদ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছান। পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছানোর পর শেখ কামালকে দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করে ঢাকার পরিস্থিতি বর্ণনা করেন। মিসেস গান্ধী শেখ কামালকে দিল্লীতে নিরাপদে থাকতে বলেন এবং লেখাপড়া শুরু করার কথা বলেন। কিন্তু শেখ কামাল মিসেস গান্ধীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে, দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে তিনি যুদ্ধে যোগদান করতে চান। তিনি কিন্তু মিসেস গান্ধীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিরাপদে থাকতে পারতেন, কিন্তু না, দেশ মাতৃকার জন্য জীবনের বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এখানেই আমরা দেশপ্রেমিক এক বীরমুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে পাই, শেখ কামালের মধ্যে। মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর থেকে চৌকষ ও মেধাবী তরুণ-যুবক-পেশাজীবীদের মধ্য থেকে ৬১ জনকে জেন্টলম্যান ক্যাডেট হিসেবে নির্বাচিত করে ভারতের অফিসার ট্রেনিং উইংয়ে (OTW) ন্যাস্ত করে দেরাদুনে “মুর্তি” ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়।
শেখ কামাল ছিলেন সেই ৬১ জন সৌভাগ্যবান তরুণদের একজন এবং যারা ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স’ সমাপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ফেলটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তিনি ঐ প্রশিক্ষণ কোর্সে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার শারীরিক ফিটনেস এবং পারফর্মেন্স ছিল সবার উপরে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধিকার আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অকুতোভয় শেখ কামালের সাহসী নেতৃত্ব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৬-দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১-দফা এবং অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে পাকিস্তানীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঢাকা কলেজের নর্থ হোস্টেলের সামনে তিনি একটি শহীদ মিনার প্রস্তুত করেন।
১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সামরিক জান্তা সরকার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে তার প্রতিবাদের ভাষা, তথা অস্ত্র হয়ে ওঠে রবীন্দ্র সংগীত। সেসময় বিভিন্ন আন্দোলন পরিস্থিতিতে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে অহিংস পন্থায় প্রতিবাদের উদাহরণ সৃষ্টি করেন শেখ কামাল। শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতি জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ ক্ষেত্রে তার ছিল বহুমূখী প্রতিভা তিনি একাধারে অভিনয় করতেন, গান গাইতেন এবং সেতার বাজাতেন। তিনি নাট্যচক্রে নিয়মিত রিহার্সেল করতেন। তার অভিনীত মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক “কবর” কলকাতার মঞ্চে মঞ্চায়ন করেন। তিনি বাংলা একাডেমীর মঞ্চেও অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি নাট্যচক্রের সহ-সভাপতি ছিলেন। সংগীত ক্ষেত্রে তিনি “ট্যালেন্ট শো”-এর প্রবর্তক ছিলেন।
একই সাথে শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক। খেলাধূলায় ছিল তার সবচেয়ে বড় অবদান। প্রথমে তিনি আবাহনী সমাজ-কল্যাণ সংস্থা গড়ে তোলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। আবাহনী ক্রীড়াচক্র বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী বিপ্লবের নাম, এক বিস্ময়কর আবেগের নাম, শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্র। স্বাধীনতা উত্তর পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতেই তিনি আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু ফুটবল নয়, আবাহনী ক্রীড়াচক্রের অধীন তিনি হকি, ক্রিকেট এবং টেবিল টেনিস দলও গঠন করেন। ক্রীড়াঙ্গণের সর্বক্ষেত্রেই তার আবাহনী জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন-শেখ কামাল খেলাধুলার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী করার। তিনি আরও বলেন-শেখ কামাল খেলাধুলার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি তিনি তাদের জন্য অবসর ভাতা প্রদানেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেন। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট হতে ১০ লাখ টাকার অনুদান নিয়ে ‘খেলোয়াড় কল্যাণ তহবিল’ গঠন করেন। তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারও ছিলেন এবং চমৎকার ফাস্ট বোলিং করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘র্যাগ-ডে’তে রং মেখে উদ্যাপন করার পরিবর্তে র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ছবি প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পালন করার প্রবক্তা ছিলেন। আজকে শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে এই দেশটাকে তিনি আরও অনেক দুরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন, বিশেষ করে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রেতো বটেই।
আমরা যখন ৪র্থ বিপ্লব মোকাবিলা করছি এবং বিজ্ঞান ও মেধাভিত্তিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করার সংগ্রামে লিপ্ত, তখন আমাদের একজন শেখ কামালের বড় বেশি দরকার। ঘাতকরা শুধু ব্যক্তি শেখ কামালকে হত্যা করে নাই, হত্যা করেছেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে। শেখ কামাল আমাদের জন্য প্রগতির ধারক ও বাহক হিসেবে চিরদিন বিরাজমান থাকবেন। একইসাথে শেখ কামাল আমাদের কাছে আধুনিকতারও প্রতীক। আজকের এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে শেখ কামাল সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক এবং অপরিহার্য। মাত্র ২৫ বছরের জীবনে শেখ কামাল ধূমকেতুর মত বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিলেন একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে, এক বিশাল আকাশকে ক্যানভাস করে; সেই ক্যানভাস জুড়ে ছিল তারুণ্য, ভালবাসা, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন-আগস্টের ঐ ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড না, এটা আমাদের সম্ভাবনার হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ড আমাদের সামাজিক, নৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক লেভেলে অপূরণীয় ক্ষতি সাধণ করেছে। যারা এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ছিল, সেই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের সুদূরপ্রসারী ক্ষতি সাধণ করার উদ্দেশ্য নিয়েই আগস্টের হত্যাকা- চালিয়েছে। ঠিক যেভাবে ১৪ই ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড আমাদের জাতিকে মেধাশুন্য করার জন্য হয়েছিল, ঠিক সেইভাবে আগস্টের হত্যাকাণ্ড আমাদের চেতনা এবং আমাদের মনুষ্যত্বকে হনন করার জন্য করা হয়েছিল। অর্থনৈতিক ক্ষতি কোন এক সময় পূরণ করা সম্ভব, কিন্তু যেই মেধাবি, সৃজনশীল এবং দেশপ্রেমিক প্রতিভাকে আমরা হারিয়েছি, সেই ক্ষতি কোনদিনও পূরণ হবার না। তাই আমরা আজ আগস্টের এই দিনে শুধু শহীদ শেখ কামালকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, নতুন প্রজন্ম এবং যুব সমাজকে শপথ নিতে হবে যে আমরা একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখব এবং আমাদের সর্বস্ব উজাড় করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যেই প্রগতিশীল ও মেধাসম্পন্ন সমাজব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন শেখ কামাল, সেই সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং অত্যন্ত পরোপকারী মানুষ। ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার সম্মন্ধে যে অপপ্রচার শুরু করে যেভাবে ইতিহাসটাকে তারা বিকৃত করার চেষ্টা করেছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সাহস করে দেশে ফিরে না আসতেন, আওয়ামী লীগের দায়িত্ব যদি কাধে তুলে না নিতেন এবং যদি তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী না হতে পারতেন তাহলে আজকে আমরা বঙ্গবন্ধু এবং শেখ কামাল সম্পর্কে যে কথাগুলো বলছি নতুন প্রজন্ম সেই সত্যটাকে কোনদিন জানতো না। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ক্রীড়া জগতে শেখ কামালের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ এনামুল হক খান, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ড. অ্যাড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল কবির রকি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা প্রমুখ।
কেআই//