স্ত্রী হত্যায় ১৮ বছর পর স্বামীর ফাঁসির আদেশ
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:১২ এএম, ৯ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার দায়ে ১৮ বছর পর স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
সোমবার যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি মোস্তফিজুর রহমান মুকুল।
আসামি ওসমান আলী ঝিকরগাছা উপজেলার দিঘড়ি গ্রামের আককাজ আলীর ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ঝিকরগাছা উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের সন্তোষ আলীর মেয়ে রাশিদা খাতুনের সাথে আসামি ওসমানের বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ে সন্তান হওয়ার পর থেকে ওসমান যৌতুকের দাবিতে রাশিদার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টাও করেন।
পরবর্তীতে ওসমান পরনারী আসক্ত এবং একাধিক বিয়ে রয়েছে বলে জানাজানি হয়।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের ৭ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার পর কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িতে আসেন ওসমান। এরপর পাশবিক নির্যাতন করে রাশিদাকে হত্যা করেন। পরের দিন সকালে রাশিদার মৃত্যুর খবর শুনে পরিবারের লোকজন আসেন। এলাকাবাসী হত্যার বিষয়টি জানালে ওসমান বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা সন্তোষ আলী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ঝিকরগাছা থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
মামলায় দিঘড়ি গ্রামের সাবুলের ছেলে কুতুব আলী, রজব আলীর ছেলে ফজর আলী, আব্দুল খালেকের ছেলে সাদেক আলী ও একই গ্রামের কালুকে আসামি করা হয়। অভিযোগ করা হয়, তারা একত্রে প্রথমে রাশিদাকে ধর্ষণ করেন। এরপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
এদিকে, মামলাটি ঝিকরগাছা থানার এসআই হাবিবুর রহমান তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে আদালতে। রায়ে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
মামলার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছেন।
এএইচ