ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মিলানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার জন্মবার্ষিকী পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইতালির মিলানের কনস্যুলেট সভা কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে উত্তর ইতালিতে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদের নেতৃত্বে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এ সময় ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা ও জীবনাদর্শে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা এর বিশেষ অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে তুলে ধরেন। 

তারা উল্লেখ করেন যে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে সঠিক পরামর্শ দেয়া, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণের প্রারম্ভে বঙ্গবন্ধুকে নিজের প্রতি অবিচল থাকতে সাহায্য করা, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নেতা-কর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনসহ সকল ক্ষেত্রে জাতির জন্য বঙ্গমাতা উজ্জ্বল অবদান রেখে গেছেন। 

সমাপনী বক্তব্যে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ বলেন যে, বাংলাদেশের সুদীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অনন্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনে তিনি ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। ইতিহাসের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ ও টালমাটাল সময়ে তিনি ছিলেন অবিচল, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মত্যাগী। বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তিনি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন এবং সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়েছেন। মুক্তিকামী মানুষ এবং দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন মাতৃতুল্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার অনন্য সাধারণ অবদান চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। 

কনসাল জেনারেল আগামী প্রজন্মের সামনে বঙ্গমাতার জীবনী বিশদভাবে উপস্থাপন করার বিশেষ প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, এ লক্ষ্যে মিলান মিশন বিশেষভাবে সক্রিয় থাকবে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল,মিলানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ইতিহাসের মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্য বিশেষ দোয়া ও সম্মিলিত মোনাজাতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

এসি