সামিয়া রহমানের কাছে ঢাবির ১১ লাখ টাকা পাওনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২ বুধবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান চাকরি থেকে আগাম অবসরের আবেদন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা শোধ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা সিন্ডিকেট তার আগাম অবসরের অনুমতি প্রদান করেছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের কাছে পাওনা হিসেবে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২১৬ টাকা দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন দাবি করা হয়েছে। তবে এ চিঠিকে বানোয়াট আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করতে বিশ্ববিদ্যালয় এই টাকা দাবি করেছে বলে দাবি সামিয়া রহমানের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনার (সামিয়া রহমান) প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ২১৬ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আপনার দেনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট তার দেনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করার জন্য তাকে অনুরাধ করা হয়। জমা শেষে তার রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
সামিয়া রহমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। গত মার্চ মাসের শেষদিন তিনি আগাম অবসরের আবেদন করেন। সে আবেদন অনুযায়ী তাকে ১৫ নভেম্বর ২০২১ থেকে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে আগাম অবসরের অনুমতি প্রদান করে সিন্ডিকেট।
গত ২৮ জানুয়ারি ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় গবেষণা জালিয়াতির দায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানের পদাবনতি করে ‘সহকারী অধ্যাপক’ করা হয়।
এরপর গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিন্ডিকেটের নেওয়া (প্রশাসনিক) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা ও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে সব ধরনের বিভাগীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এসবি/