আদ্দিস আবাবায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৫:৪৭ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২ বুধবার
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সোমবার (৮ আগস্ট) দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত আয়োজনে ইথিওপিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির অতিথিবৃন্দ সপরিবারে, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারি, তাদের পরিবারবর্গ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ইথিওপিয়ার অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম আগত অতিথিদের নিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
পরবতীর্তে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং দোওয়ার মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী আগত অতিথিবৃন্দের উদ্দেশ্য পাঠ করে শোনানো হয়।
বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মকাণ্ডের উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র (ভিডিও) প্রদর্শিত হয়। প্রামাণ্য চিত্রের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় স্বতঃস্ফূর্ত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব-এর কর্মময় জীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুদীর্ঘ সময় কারাবন্দি থাকার প্রাক্কালে বঙ্গমাতার দৃঢ়তা, সীমাহীন ধৈর্য্য, সাহস ও বিচক্ষণতা তুলে ধরেন। তাঁরা বঙ্গমাতাকে যথার্থই ত্যাগ ও আদর্শের সাহসী প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন।
উক্ত আয়োজন উপলক্ষে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বেগম মুজিবের জন্মদিনকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং উল্লেখ করেন যে, এর ফলে প্রতিবছর বঙ্গমাতার জন্মদিন উদযাপনের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বেগম মুজিবের ত্যাগ ও অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম অবগত হবে।
তিনি আরও বলেন যে বেগম মুজিব ছিলেন যথার্থই একজন রত্নগর্ভা মা যিনি বঙ্গবন্ধুর পিছনে সকল সংঘাতে অবিচল থেকে তিনি তাঁর সুদূঢ় সমর্থন দিয়ে গেছেন ফলে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও অর্জন অনেক বেগবান হয়েছে। তিনি আমাদের জীবনে শুধু নারীদের নয়, পুরুষদের জন্যও এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সকলকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ত্যাগ ও জাতিগঠনে তার উৎসাহে উজ্জ্বীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান। পরিশেষে আগত অতিথিবৃন্দের জন্য রাতের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী খাবারের আয়োজন করা হয়।
এসি