ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ: আরও ২ আসামির স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৯:২১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২ বুধবার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন নামের নৈশকোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সাগর ও বাবু নামের আরও দুই আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নওরিন করিমের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সোহাগ ও বাবুসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন জবানবন্দি দিলেন। বাকি চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

এ পর্যন্ত মামলার নয় আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আদালতে ৬ আসামির ৭ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের মধ্যে সোহাগ মণ্ডল ও বাবু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে যাত্রীবেশি ডাকাতরা গাড়িতে উঠেন। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে যাত্রীদের টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন, গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেন। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। 

পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।

৪ আগস্ট ভোরে পুলিশ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাসচালক রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। ৫ আগস্ট গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেফতার করে। ৬ আগস্ট এই তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এএইচ