ছুটছে চালের দর, জেরবার জীবন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২২ শনিবার
অস্থির চালের বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে সাড়ে তিনশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মিল ও গুদামে মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে চট্টগ্রামের আশপাশের জেলাগুলোতে সিদ্ধ চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও বাড়ানো হয়েছে লাগামহীনভাবে। তিন দিন আগে মোটা ইরির ৫০ কেজির বস্তার দাম ছিল ২ হাজার টাকা। যা শনিবার বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৩৫০ টাকা। একইভাবে মিনিকেট সিদ্ধ চাল ৫০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮৫০ টাকা। জিরাশাইল বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
শুধু অজুহাতের ওপর ভর করে বাড়ানো হয়েছে আতপ চালের দামও। বিশেষ করে বেথি কিংবা কাটারি আতপের বস্তায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়লেও চিনিগুড়া চালের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় এক হাজার টাকা করে। তিন দিন আগে কাটারি আতপ চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়। আর চিনিগুড়া চাল পাঁচ হাজার টাকা থেকে এক লাফে হয়ে গেছে ছয় হাজার টাকা।
যদিও ব্যবসায়ীরা সব দায় চাপাচ্ছেন জ্বালানি তেলের ওপর। তাদের দাবি, তেলের দাম বাড়ার কারণে উত্তরের জেলাগুলো থেকে চালবহনকারী প্রতিটি ট্রাকের ভাড়া বেড়ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। কিন্তু, সে অনুযায়ী প্রতি বস্তা চালে দাম বাড়ার কথা ৫০ টাকারও কম। কিন্তু তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে প্রতিদিনই বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা করে বাড়িয়ে দিচ্ছেন মিল মালিকরা।
তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিতে বলছেন সেখানকার ব্যাবসায়ীরা।
সেখানকার এক ব্যাবসায়ী বলেন, ‘‘দেশে পর্যাপ্ত চাল আছে। আমদানিও করা হচ্ছে। মিল মালিকরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।’’
এদিকে সরকার দাম স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বিভিন্নসময় অভিযানসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তাতে খুব বেশি সুফল মেলেনি। অক্টোবরের মধ্যে সরকার ১০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত চাল এসেছে মাত্র ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।
এমএম/