ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মহড়ার অন্তরালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি খুনিদের (ভিডিও)

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২২ রবিবার

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পঁচাত্তরের ১৪ আগস্ট চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় খুনিরা। এদিন সেনাবাহিনীর মহড়ার অন্তরালে অস্ত্র গোলাবারুদ ও ৬০০ সৈন্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রকারীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন মেজর ফারুক।

দীর্ঘ ষড়যন্ত্র ও নীল নকশা শেষে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অপারেশন প্রধানের দায়িত্ব নেন মেজর ফারুক। ১৪ আগস্ট রাতে সহযোগী অফিসারদের একত্র করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা করে এই পরিকল্পনায় যোগ দিতে রাজী আছে কিনা জানতে চাইলে অন্যরা সম্মতি জানায়। অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাসের নেয়া ফারুক-রশিদের সাক্ষাৎকার ও বিভিন্ন দলিল থেকে উঠে আসে এসব তথ্য।

ঢাকার একটি টুরিস্ট ম্যাপ স্কোয়াড্রন অফিস টেবিলে রাখেন ফারুক। যেসব স্থানে ব্লক স্থাপন করতে হবে, সেসব জায়গায় দাগ কেটে দেন। 

ফার্স্ট বেঙ্গল ল্যান্সার ও দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারীর যুক্ত মহড়া শুরু হয় রাত দশটায়। দুটি ইউনিটের প্রায় ৬০০ সদস্য ক্যান্টনমেন্টের পেছনে নির্মাণাধীন নতুন বিমান বন্দরের কাছে জড়ো হয়। কিন্তু কমান্ডারদের মনে কি আছে তা একটুও টের পায়নি তারা।

রশিদ ৬টি ১০৫ এমএম যুগোস্লাভ হাউইটজার এবং প্রচুর গোলাবারুদ এয়ারপোর্টের আশেপাশে জড়ো করে। রশিদের নির্দেশে কামানের লক্ষ্যন্থির করা হয় রক্ষীবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের দিকে।

৭৫ থেকে ১৫০ জন সৈন্যের তিনটি দল সাজানো হয়। তিনটি দলের প্রধান টার্গেট ছিল শেখ মুজিব, আব্দুর রর সেরনিয়াবাত এবং শেখ ফজুলল হক মনির বাড়ি।

অভিযান শুরু সঙ্গে সঙ্গেই রশিদ যাবেন স্কোয়াড্রন লিডার লিয়াকতের কাছে। সেখানে প্রস্তুত রাখা হয় মিগ জঙ্গি বিমান। যাতে ঢাকার বাইরে থেকে কোনো সেনা ইউনিট ঢাকায় আসার চেষ্টা করলে তা ঠেকিয়ে দেয়া যায়।

এছাড়া রশিদের উপর আরও দায়িত্ব ছিলো খন্দকার মোশতাক আহমেদকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে এসে মুজিব হত্যার ঘোষণা দেয়া।

এএইচ