ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চকবাজার আগুন: ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর হবে

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৪:১৭ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৮:৩৮ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২২ সোমবার

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেন এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে আগুন লাগা ভবনের দোতলায় ছয়টি মরদেহ পাওয়া গেছে। নিহত সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে নিহত ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরের জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ বলেন, ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। আগুনে পুড়ে ওই পাঁচ মরদেহের হাড় বেরিয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, আরেকজনের চেহারা দেখে কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। মরদেহগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, তারা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের শুরুর দিকেই হয়তো তারা মারা গেছেন। এরপর আগুনে আরও বেশি করে পুড়ে গেছে তাদের দেহ।

নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. শরিফ (১৫), মো. বিল্লাল (৩৫), মো. স্বপন (২২), মো. ওসমান (২৫)। অপর দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত হলেও ডিএনএ পরীক্ষা করার পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এর আগে, ফায়ার সার্ভসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই বরিশাল হোটেলের পাঁচ কর্মী ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কজন বের হতে পেরেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পলিথিন কারখানায় আগুন লাগে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট।

ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জাফর হোসেন বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতদের একজন ওসামানের খালাতো ভাই মো. রুবেল জানান, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দোতলায় ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি।

আরেক নিহত মো. বিল্লালের (৩৩) শ্যালক আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন তার দুলাভাইও বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। রাতে নাইট ডিউটি শেষে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

বরিশাল হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে দাবি করেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।

এসবি/