স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২২ বুধবার
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলশিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসমিদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার শিতলী গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস খাঁনের ছেলে রান্নু খাঁন, শামছুর রহমান খাঁন ও তার ছেলে জামাল খাঁন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কানু খাঁন একই এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামে আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। সেখান থেকে তাকে প্রথমে শৈলকুপায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন তার স্ত্রী শিউলী খাতুন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত প্রতিবেশী রান্নু খাঁন, জামাল খাঁন ও কানু খাঁনকে মৃত্যুদণ্ড ও শামছুর রহমান খাঁনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ মামলায় অপর তিনজন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে।
নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, আমাদের চোখের সামনেই আমার বাবাকে ওই সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। রায়ে তিনজন খালাস পাওয়ায় আমারা আদালতের প্রতি সম্মান রেখে দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই তিনজনকেও শাস্তির আওতায় আনার দরকার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। দ্রুত এই রায় কার্যকর যেন হয় সেই আশা করছি।
এমএম/