ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নিখোঁজ শিক্ষক দম্পতির লাশ মিললো প্রাইভেট কারে

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:২৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

শিক্ষক দম্পতি (ফাইল ছবি)

শিক্ষক দম্পতি (ফাইল ছবি)

গাজীপুরের টঙ্গীতে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্কুল থেকে প্রাইভেটকারে করে ফেরার পথে তারা নিখোঁজ হন।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে টঙ্গীর নিমতলী হায়দ্রাবাদ ব্রিজ এলাকায় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন জিয়াউর রহমান মামুন ও জেলি আক্তার। মামুন টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং জেলি আক্তার একই এলাকার আমজাদ আলী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা।

তাদের বাড়ি টঙ্গীর কামারজুরি এলাকায়।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গেল বুধবার সন্ধ্যায় স্কুল থেকে প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজেদের প্রাইভেট কারে স্কুল থেকে বের হন। সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে মেরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ তাদের কথা হয়। এরপর থেকে তাদের মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। 

রাত গভীর হলেও ওই দম্পতি ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ও পুলিশের খবর দেয়। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে এক কিলোমিটার দূরে বগাটেক এলাকায় রাস্তার পাশে তাদের গাড়িটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। গাড়ির ভেতরেই তাদের নিথর দেহ পড়েছিল।

ওই দম্পতির ছেলে মো. মিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, “বুধবার সকালে বাড়ি থেকে একই প্রাইভেটকারে করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। স্কুল শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো হদিস মেলেনি। পরে ভোরের দিকে গাড়ির ভেতর তাদের পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়।”

পরে পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বোর্ডবাজার এলাকার তায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মিরাজ।

লাশ ময়মনতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান গাজীপুর গাছা থানার ওসি নন্দলাল চৌধুরী।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।

এএইচ