ব্যস্ত ক্রিকেট সূচিতে দুশ্চিন্তায় বিসিবি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী চার বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ২০২৩ সালের মে থেকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে টাইগারদের সূচিতে। যেখানে বাংলাদেশ দল খেলবে ৩৪টি টেস্ট, ৫৯টি ওয়ানডে আর ৫৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
অন্যদিকে, এই চার বছরে সবচেয়ে কম ম্যাচ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এমনকি আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ডের চেয়েও কম। যারা সদ্যই বাংলাদেশকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে, সেই জিম্বাবুয়ে পেয়েছে মাত্র ১০৯টি ম্যাচ। আফগানিস্তান ১২৩টি, আয়ারল্যান্ড ১১০টি ম্যাচ খেলবে আগামী চার বছরে।
ফিউচার ট্যুরে বাংলাদেশের কাছাকাছি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৪৭), ইংল্যান্ড (১৪২), ভারত (১৪১)। এর বাইরে অস্ট্রেলিয়া ১৩২টি, নিউজিল্যান্ড ১৩৫টি, পাকিস্তান ১৩০টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৩টি, শ্রীলঙ্কা ১৩১টি ম্যাচ খেলবে নতুন এফটিপি অনুযায়ী।
অবশ্য ম্যাচ পাওয়ার দিক থেকে শীর্ষে থেকেও চিন্তায় পড়ে গেছে বিসিবি। বেশি ম্যাচ পেয়ে ভাবনা বেড়েছে সংস্থাটির। পরিকল্পনা করতে হবে এফটিপির সার্বিক দিক নিয়ে। ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ভাবতে হবে। বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হবে, পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে, যেন হাতে অনেক বিকল্প ক্রিকেটার থাকে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড নিয়ে চিন্তা করতে হবে। সবকিছু বিবেচনা করে এগুতে হবে। ম্যাচ চাইলে বা পেলেই তো হবে না। এফটিপির বাইরেও কোনো বড় ইভেন্টের আগে কিছু দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট হয়। সেগুলো খেলতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ম্যাচগুলো কিন্তু আইসিসি ও এসিসির ইভেন্টের বাইরে। আইসিসি এখন প্রতি বছর একটা টুর্নামেন্ট করছে। এসিসিও এক বছর বিরতি দিয়ে এশিয়া কাপ করছে। তাই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ম্যাচ রয়েছে আমাদের। কতটুকু নিজেদের আয়ত্ত্বে রেখে আমরা অংশগ্রহণ করব, সেটাই দেখার বিষয়। চাইলেও কিন্তু আমাদের ম্যাচ বাড়ানোটা ঠিক হবে না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সামর্থ্যের পরীক্ষা হয়ে যাবে নতুন এফটিপিতে। বিশেষ করে ক্রিকেটের গভীরতা দৃশ্যমান হয়ে যাবে। নিয়মিত খেলা থাকায় ক্রিকেটার, বোর্ড, কোচসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যস্ত থাকতে হবে। এত ব্যস্ততার মুখোমুখি আগে কখনো হয়নি বাংলাদেশ।
এনএস//