ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘৩০০ না হোক, সামঞ্জস্যপূর্ণ্য মজুরি পেলেই চলবে’

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন বালিশিরা ভ্যালীল বৈঠক

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন বালিশিরা ভ্যালীল বৈঠক

তিনশ টাকা না হোক, জীবনমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটা মজুরি পেলেই কাজে যোগ দেবেন শ্রমিকরা। 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকাস্থ শ্রম অধিদপ্তরে আলোচনা ও প্রস্তাবের বিষয়ে দেশের চা বাগানগুলোর পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত ভ্যালি কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন শ্রমিক নেতারা।
 
ঢাকায় শ্রম দপ্তরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে জানাতে এবং এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের প্রত্যেক ভ্যালিতেই বৈঠক করা হয়েছে বলে জানান চা শ্রমিক নেতা পরেশ কালিন্দি। 

তিনি জানান, চা শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রম অধিদপ্তরের ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকেও আসেনি কোনো সিন্ধান্ত। ফলে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকছে। তবে এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানদের সাথে আলোচনাক্রমে তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। 

পরেশ কালিন্দি জানান, শ্রম দপ্তরের বৈঠকে ১২০ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরি দিতে রাজী হন মালিক পক্ষ। যা চা শ্রমিকদের জীবনমনের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সভা শেষে শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা বলেন, “বাগানে পাতা নষ্ট হচ্ছে। এটি নষ্ট হলে মালিক পক্ষের তেমন কিছু যায় আসে না। কিন্তু শ্রমিকরা বঞ্চিত হবে হাজিরা থেকে। আমরা চাই না এভাবে পাতা নষ্ট হোক। শ্রমিকরা কষ্ট পাক। তাই মালিকদের প্রতি আহ্বান তিনশত টাকা না হোক জীবনমানের সঙ্গে কিছুটা সামঞ্জস্য রেখে মানসম্মত একটা মজুরির ঘোষণা দিলে আমরা কাজে যোগ দিব।”

বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বালিশিরা ভ্যালির সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা পংকজ কন্দ, শিউধন কুর্মী, পরেশ কালিন্দি ও বালিশরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা ও এই ভ্যালীর নিয়ন্ত্রীত প্রত্যেকটি চা বাগানের পঞ্চায়েত প্রধানরা।

এদিকে চা বাগানে কর্মবিরতিতে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চা পাতা নষ্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চা শিল্প প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার লোকসানে পড়েছে। এভাবে আন্দোলন অব্যাহত থাকলে লোকসানের পরিমাণ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে বলে জানান, শ্রীগোবিন্দ পুর চা বাগানের মালিক মহসীন মিয়া মধু। 

প্রতিদিন অন্তত ১০ থকে ১২ কোটি টাকার পাতা এখন নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এনএস//