ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৪৬ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর পৃথক এলাকায় বজ্রপাতে তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শিশুসহ আহত হয়েছেন পাঁচ জন।

ঘটনাগুলো ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে। 

নিহতরা হলেন- চরকাজল এলাকার মামুন প্যাদা (৩৮), পৌর এলাকার মোস্তফা হাওলাদার (৫০) ও রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া গ্রামের রোমান মুফতি (৪৮)।

এদিকে রাঙ্গাবালীতে ও কুয়াকাটায় ২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাঙ্গাবালীতে মোর্শেদা বেগম (৪০) নামের এক নারী, জেলে রাসেল, তৌসিফ ও ইয়াকুব এবং কুয়াকাটায় আব্দুল্লাহ (১১) নামের এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম ও রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার তিনজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। 

গলাচিপা থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের উত্তর চরকাজল গ্রামের গনি প্যাদার ছেলে নদীতে মাছ ধরে বাড়ি ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ করে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। এসময় মামুন বাড়ির কাছে পুকুর পাড়ে আশ্রয় নিলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। 

অপরদিকে, একই সময় গলাচিপা পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার মোস্তফা হাওলাদার ক্ষেতে কাজ করছিল। পৌর এলাকার বঙ্গবন্ধু উপশহরে কৃষি কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মোস্তফা হাওলাদারেরও মৃত্যু হয়। 

এদিকে, নিহত রুমান মুফতি উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের অলি মুফতির ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, শহিদ ফকিরের মালিকানাধীন ট্রলারের পাঁচ জেলে চালিতাবুনিয়া সংলগ্ন রাবনাবাদ নদীতে মাছ ধরছিল। বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। পরে তারা তীরে ফিরে আসার সময় তাদের ট্রলারে আকস্মিক বজ্রপাত হয়।  

ঘটনাটি নিশ্চিত করে চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে রুমান মুফতিসহ একই এলাকার জেলে রাসেল, তৌসিফ ও ইয়াকুব আহত হয়। তাদের দ্রুত কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে রুমান মুফতি মারা যান এবং বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন।

এদিকে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে শিশু আব্দুল্লাহ গুরুতর আহত হয়। এসময় ওই গরুটি মারা যায়। এছাড়া ঘর থেকে পুকুরে যাওয়ার সময় মোর্শেদা বেগম গুরুতর আহত হন। আর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাজীর হাওলা গ্রামে মাঠে ঘাষ খাওয়া অবস্থায় একটি গরুর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে গলাচিপা উপজেলায় দুজনের এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের বাড়িতে খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এসি//এনএস//