ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১০:০৪ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

প্রযুুক্তি আর উদ্ভাবনের ব্যবহার জোরেসোরেই শুরু হয়েছে উন্নত বিশ্বে। অ্যাপস, ডিভাইস আর রোবট-নির্ভর হচ্ছে উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা। প্রযুক্তি বিপ্লবের হাত ধরেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অনেক কাছাকাছি গোটা দুনিয়া।

সনাতন কৌশল আর দৈহিক শক্তি ব্যবহার করেই এক সময় উৎপাদন কার্যক্রম চালাতো মানুষ। যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়। 

কিন্তু ১৬৯৮ সালের পর বদলে যায় চিত্র। বাণিজ্যিক বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কার হলে যন্ত্রের আশির্বাদ পায় মানুষ। উৎপাদনে গতি আনে ইঞ্জিন। শুরু হয় প্রথম শিল্প-বিপ্লব। আধুনিকতার পথে নবযাত্রায় গোটা বিশ্ব।

তবে বাষ্পীয় ইঞ্জিনেই সীমাবন্ধ থাকেননি বিজ্ঞানীরা। নানা ধাপে ১৮৭০ সালে আবিস্কার হয় বিদ্যুৎ। উৎপাদন ও জীবনযাত্রায় ঘটে আমূল পরিবর্তন। বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি দ্বিতীয় শিল্প-বিপ্লবের সূচনা করে।

এরপর ইলেকট্রনিক্স, ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের হাত ধরে শুরু হয় তৃতীয় শিল্প-বিপ্লবের। সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যায়। শিল্পের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হয় যোগাযোগ, গবেষণা, চিকিৎসা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান। 

বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। প্রযুুক্তি আর নিত্যনতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলছে উৎপাদন ও সেবাখাত। স্বয়ংক্রিয় মেশিন, অ্যাপস, ডিভাইস আর মানুষের বিকল্প রোবট কাজ করছে শিল্প-কারখানায়।

উন্নত বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনী সক্ষমতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে; সমহারে বাড়ছে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ।

বৈশ্বিক বাস্তবতায় চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে বাংলাদেশ কতটুকু প্রস্তুত; সেই প্রশ্নই এখন আসছে ঘুরে ফিরে।

এসি