স্মার্ট দেশের তালিকায় থাকবে বাংলাদেশও (ভিডিও)
আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২২ শনিবার
চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উদ্ভাবনী সক্ষমতা বেশি জরুরি। দরকার প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী মানবসম্পদ। এক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার ও প্রযুক্তিবান্ধব অবকাঠামো তৈরির বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
পেছনে থাকবে মানুষ; কাজ করবে যন্ত্র। বাসায় থেকেই কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চালানো যাবে অ্যাপস কিংবা তারবিহীন বার্তার মাধ্যমে। ২৪ ঘণ্টাই চলবে কাজ। প্যাকেজিংয়ের কাজও সামলাবে ডিভাইস কিংবা রোবট।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে। উৎপাদন ও সেবা খাতে মানুষের ভূমিকা হবে অনেকটা আরব্য রজনীর দৈত্যের মতো। শুধু হুকুম দেবে। আর হয়ে যাবে সব কিছু।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক উদ্যোগতা রুবাইয়াৎ ফারহান বলেন, “ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কিভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা যায়, ছোট এবং মাঝারি বিজনেসগুলোর জন্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে একজন মানুষ ডিজিটাল মার্কেটারের মতো কাজ করতে পারে সেই কাজটাই আমরা করছি।”
কিন্তু যন্ত্রের উদ্ভাবন ও তার পেছনে দরকার প্রযুক্তি বিদ্যায় পারদর্শী দক্ষ মানবসম্পদ। এক্ষেত্রে শিক্ষা কারিকুলামে আমূল সংস্কার, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ঢাবি তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মঈনুল ইসলাম বলেন, “একটি সার্ভেলিং সিস্টেম বানাতে পেরেছি। একটা প্রযুক্তি তৈরি করবো আমার দেশে, তখন সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো। আমরা কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারটা, প্রযুক্তির সৃষ্টিকারী না। কিভাবে প্রযুক্তিটা সৃষ্টি করতে পারি সেই জায়গায় ফোকাসটা যেতে হবে।”
আসছে দুনিয়ায় এসব চ্যালেঞ্জ নিতে যারা ব্যর্থ হবে; তারা হয়ে পড়বে পরনির্ভরশীল। পিছিয়ে থাকবে আধুনিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হলে বেকার হয়ে পড়বে লাখো মানুষ।
বি এম মঈনুল ইসলাম আরও বলেন, “জানি যে চ্যালেঞ্জটি আসছে আমরা সেটির ভুক্তভোগি হতে যাবো, যদি না সেভাবে নিজেদেরকে তৈরি না করি। সব জায়গায় কি অনার্স-মাস্টার্স পাস করা ইঞ্জিনিয়ার লাগবে, পিএইচডি করা লোক লাগবে থ্রি-ডি প্রিন্টারের জন্য। থ্রি-ডি প্রিন্টার মেইন্টেনের জন্য লোকটা কৈ? তাকে কি সেই শর্ট ট্রেনিংটা কি দিয়েছি?”
এদিকে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে সাজানো হচ্ছে শিক্ষা কারিকুলাম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাইটেক ও সফটওয়্যার পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সারাদেশে।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, “প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা প্রতিবেদন দিয়েছে সেখানে কারিকুলাম দিয়েছি। জিরো লেভেল থেকে উপরে দিকে শিক্ষাটা দিয়ে আসছি।”
সব ঠিক থাকলে রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্লাউড কম্পিউটিংসহ নিত্যনতুন প্রযুক্তিজ্ঞান ব্যবহার করে স্মার্ট দেশের তালিকায় থাকবে বাংলাদেশও। জয় করবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ।
এএইচ