ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

নায়করাজকে হারানোর ৫ বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ২১ আগস্ট ২০২২ রবিবার

নায়করাজ রাজ্জাক। অভিনয়-সত্তা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন একজন সফল অভিনেতা হিসেবে। ঢাকাই সিনেমার এই কালজয়ী অভিনেতা যে অভিনয় প্রতিভা রেখে গেছেন, সেটি অনেক দিন টিকে থাকবে দর্শক হৃদয়ে। ২০১৭ সালের (২১ আগস্ট) পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। রোববার তার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় রীতি মেনে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতার ছোট ছেলে চিত্রনায়ক সম্রাট।

এফডিসিতেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ বাদ আসর নায়করাজের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে বড় এই নক্ষত্রের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। সাদাকালো থেকে রঙিন সেলুলয়েডের দীর্ঘ ইতিহাসে দাপুট অবস্থান তার।

রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো রূপালি জগতকে যেমন করেছে আলোকিত, তেমনি করেছে সমৃদ্ধ। তবে তার চলার পথটা খুব একটা মসৃণ ছিল না।

সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকে হাতেখড়ি হয় রাজ্জাকের। ১৯৬৪ সালে নতুন জীবন গড়তে সপরিবারে বাংলাদেশে পাড়ি জমানো রাজ্জাক কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করেছেন।

‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রের পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সহযোগিতায় বাংলাদেশি সিনেমায় কাজের সুযোগ পান রাজ্জাক। ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হয় তার। একই বছর জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

তিনি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের বাইরে রাজ্জাক সফল ছিলেন প্রযোজক-নির্মাতা হিসেবেও। প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ১৬টি চলচ্চিত্র।  

রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- ‘স্লোগান’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘অতিথি’, ‘কে তুমি’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘প্রিয়তমা’, ‘পলাতক’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘খেলাঘর’, ‘চোখের জলে’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘ভাইবোন’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘সাধু শয়তান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘মায়ার বাঁধন’, ‘গুণ্ডা’, ‘আগুন’, ‘মতিমহল’, ‘অমর প্রেম’, ‘যাদুর বাঁশী’, ‘অগ্নিশিখা’, ‘বন্ধু’, ‘কাপুরুষ’, ‘অশিক্ষিত’, ‘সখি তুমি কার’, ‘নাগিন’, ‘আনারকলি’, ‘লাইলী মজনু’ ইত্যাদি।

দীর্ঘ কর্মজীবনে আজীবন সম্মাননাসহ মোট ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাজ্জাক। এছাড়াও চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্র তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করে।  

এমএম/