ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সড়ক ছাড়লেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন চা শ্রমিকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২ রবিবার

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত সিলেটের চা শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে বাগানে ফিরেছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর অনুরোধে দুই দিনের জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শ্রমিকরা। তবে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। 

রোববার বেলা দেড়টার দিকে লাক্কাতুড়া বাগানের সামনে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে বাগানে ফিরেন শ্রমিকরা। 

চলমান জটিলতা নিরসনে শনিবার (২০ আগস্ট) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দফতর অফিসে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল বৈঠকে বসেন। তিনপক্ষীয় এই বৈঠকে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে নেতারা এ সিদ্ধান্ত মেনে আসলেও শ্রমিকদের একটি পক্ষ তা প্রত্যাখান করে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।  

রোববার দুপুর ১২টায় লাক্কাতুড়া ও মালনীছড়াসহ বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা মিছিলসহকারে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে জড়ো হন। এরপর তারা বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। চা শ্রমিকরা বুকে ও পিঠে ‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে’ লিখে বিক্ষোভ করেন। 

অবরোধের কারণে সিলেট-বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে অবরোধের কবলে পড়েন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এসময় আন্দোলনকারীরা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার কথা তার কাছে তুলে ধরেন। জবাবে শফিকুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে দুইদিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

দুইদিনের জন্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

শফিকুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ‘‘শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরির দাবি জানিয়েছেন। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে দুইদিনের সময় চাইলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। অবরোধের কারণে সিলেট-বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে চলাচলকারী লোকজন মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন। অনেক রোগীকেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

এমএম/