1. প্রচ্ছদ
2. দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের হাজিমারা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে গৃহবধূর আসমা আক্তারের খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্বামী মাসুদ গাজী খোকনের হাতে খুন হয় সে। রোববার (২১ আগস্ট) রাতে তাকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। 

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, গত শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ উপজেলার হাজিমারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে অর্ধগলিত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহের গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেটির ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড প্রতীয়মান হওয়ায় ভিকটিমের স্বামীকে সন্দেহ করা হয়। 
 
তিনি বলেন, ভিকটিম আসমা বেগমের মা অজুফা বেগম বাদি হয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসমার পলাতক স্বামী খোকনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। রোববার রাত সোয়া ২টার দিকে চট্রগ্রামের বটতলী রেলস্টেশন থেকে আসমার স্বামী খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সে পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে। চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর তাকে রায়পুর থানায় নিয়ে আসা হয়। সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট ভোররাতে চুরিকাঘাত করে আসমাকে হত্যা করা হয়। 

পুলিশ সুপার বলেন, ঘাতক খোকনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গাজির চর এলাকায়। ঘটনার পর সে নারায়নগঞ্জে পালিয়ে যায়।

এসপি বলেন, খুব দ্রুত আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি এবং ঘাতককে গ্রেফতার করতেও সক্ষম হই। এছাড়া গত ১৮ আগস্ট একই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুরের একটি সুপারী বাগান থেকে লায়লা নুর নিপু (২৫) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে তার কথিক প্রেমিক এবং হত্যাকারী সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া আরেক হত্যাকারী রফিককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।                        
কেআই//