ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণা চান চা-শ্রমিকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পাঁচটি চা-বাগানসহ লস্করপুর ভ্যালির ২৪ চা-বাগানের সাধারণ শ্রমিকরা ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। 

মঙ্গলবার সকালে ওই ২৪ চা বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন। তারা সমাবেশে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণার দাবি করেন।

শ্রমিক নেতারা জানান, চা-শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সাধারণ শ্রমিকের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। সাধারণ শ্রমিকদের প্রত্যাশা- চা শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই মঙ্গলজনক পদক্ষেপ নেবেন। তাই সাধারণ চা-শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা পেলেই কাজে যোগ দেবেন। এর আগে কোনো অবস্থাতেই অন্য কারও কথায় শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না।

চা-শ্রমিক নেতা সুকুমার পানতাঁতী বলেন, “চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরিতে এখন কাজ করতে রাজি না। তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সাধারণ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। তাই সরকারের উচিত মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে চা বাগানের চলমান সংকট নিরসন করা। ১৪ দিন ধরে ধর্মঘট চলমান থাকায় চা শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ও অসন্তোষ আরও বাড়ছে।”

লস্করপুর ভ্যালির সাবেক সভাপতি অবিরত বাক্তি বলেন, “শ্রমিক নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে শ্রমিকদের সংকট আরও ঘনিভূত হয়েছে। তাই সরকারের প্রতি চা-শ্রমিকদের পক্ষে আমাদের দাবি হচ্ছে- দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলমান সংকট সমাধান করা। এতে চা-শ্রমিক, চা-শিল্প সহ সবার জন্য মঙ্গল হবে। অন্যথায় চা-শিল্প ও চা-শ্রমিক আরও সংকটের মধ্যে পড়বে।”

গত ৯ আগস্ট থেকে চা শ্রমিকেরা ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে ধর্মঘটে নামেন। এরপর ১৩ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস চা শ্রমিকেরা মানববন্ধন, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট পালন করে আসছেন। ১৪ ও ১৫ আগস্ট দুদিন স্থগিত থাকার পর এ পর্যন্ত পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করে আসছেন তারা।
এসএ/